ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে আন্দামানে (Andaman)। বাড়ছে হওয়ার গতিবে। তাহলে কি শুরু 'মোকার' (Macha) দাপট? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ (Eddy) ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হলে দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। মঙ্গলবার রাতে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তা নিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করল আন্দামান প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের আগেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন। গত রবিবার (Sunday) থেকেই তাঁদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৯ মে থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত আন্দামানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। ১২ মে ভারী বৃষ্টির পূ্র্বাভাস রয়েছে।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, 'মোকার' কারণে আন্দামান সাগর, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব, মধ্য-পশ্চিম এবং মধ্য-পূর্ব অংশের সমুদ্র অশান্ত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পথ ধরেই এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার দিক পরিবর্তন করতে পারে ‘মোকা’। বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ উপকূলের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পথ ধরেই এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড়। বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোবে। শুক্র এবং শনিবার ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি। তবে কবে এবং কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়, সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর।

তবে মৌসম ভবনের সোমবারের পূর্বাভাস, বাংলার দিকে না-ও আসতে পারে মোকা। পরিবর্তে তা চলে যেতে পারে বাংলাদেশের দিকে। ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে ওড়িশাতেও। তবে ‘মোকা’ তৈরি হওয়ার পর ঠিক কোন দিকে ধেয়ে আসবে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় বাংলার দিকে ধেয়ে আসুক বা না আসুক, ‘মোকা’র প্রভাবে ইতিমধ্যেই গরম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বাংলায়।

মোকার প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহে পুড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। যার রেশ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আবহবিদরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া। এই আট জেলায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: