দিল্লির অশোক রোডের ৯ নম্বর বাংলোটি অরুণ জেতলির নামে ছিল।ঠিক পাশেই ১১ নম্বরটি ছিল বিজেপির সদর দফতর।সেসময় রোজ দুপুরের পর সভা বসত। সেই সভায় রোজ হাজির থাকলেও চুপ করেই বসে থাকতেন অমিত শাহ।

সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় তখন তিনি রাজ্যছাড়া। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান। 

২০১০ সালের সেই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই মিল পাচ্ছেন বর্তমান ঘটনার। তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। আর আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিবিআই চিদম্বরমকে গ্রেফতার করল। আর ঠিক একই ভাবে কংগ্রেস দফতরে এসে চিদম্বরম দাবি করলেন, তিনি নির্দোষ। 

এখন প্রশ্ন উঠছে যে অমিত শাহ কি তাহলে বদলা নিলেন? চিদম্বরমের আইনজীবী, সঙ্গী ও কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বললেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। কিন্তু চিদম্বরমের ভাবমূর্তি বিলকুল সাফ।’’ 

কংগ্রেসের ভেতরে এও আলোচনা হচ্ছে যে  ‘আজ যদি জেটলি এতটা অসুস্থ না থাকতেন, হয়তো সিবিআই-ইডির এমন অপব্যবহার হত না। প্রকাশ্য রাজনৈতিক বিরোধ যা-ই থাক, তলে তলে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে জানতেন জেটলিরা। বিরোধী নেতাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতেন। ‘আজকের’ বিজেপিতে যা বিরল।’ 

চিদম্বরমকে গ্রেফতারের পর থেকে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে মোদীর বক্তৃতার একটি অংশ  ‘‘এখন কেউ জামিনে আছেন, কেউ আদালতে একের পর এক তারিখ নিচ্ছেন, কেউ আদালতে চক্কর কাটছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি তাঁদের জেলের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। ২০১৯-এর পর?’’ 

জনতা চেঁচিয়ে উঠল, ‘‘জেল! জেল! জেল!’’

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: