একের পর এক হেভিওয়েট দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছয় মরক্কো(Moroco)। ঠিক ফ্রান্সও (France) গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। তাই বুধবারের দ্বিতীয় সেমিতে কোনও অঘটন ঘটে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। তবে স্বপ্ন ভহ্গ হল মরক্কোর। প্রথমার্ধের পেনাল্টি বক্স থেকে থিও হার্নান্দেজ বল পেয়েই দুর্ধর্ষ ভলিতে গোল করেন। অলিভিয়ের জিরুডও সুযোগ পান বহু। কিন্তু গোলরক্ষককে সামনে পেয়ে গোল করে ওঠা হয়নি তাঁর। গোলপোস্টে লাগে বল।
তবে শুরুতেই গোল খেয়ে দমে যায়নি মরক্কো। জাভেদ এল ইয়ামিকের বাইসাইকেল কিক বরং বিশ্বকাপের সেরা গোল হয়ে উঠতে পারত। একইসঙ্গে মরক্কোকে প্রায় সমতা ফিরিয়ে দিতে পারত। তবে হুগো লরিস আটকে দেন সেই শট।তবে সবকিছুর শেষে নীরবে খেলে গেল এমবাপ। ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোলের পিছনে তাঁর বিধ্বংসী ড্রিবলিং। তাঁর শটে মরক্কোর ডিফেন্সে আটকে দিলেও বল পেয়ে যায় কোলো মুয়ানির কাছে। সেখান থেকেই ২-০ করে ফাইনালের ওঠা আরও একধাপ এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
রবিবারের ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার ফাইনাল ঘিরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ২০০২-এ ব্রাজিলের পর ফের কোনও দল টানা দুটো বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছল। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। সেই প্রতিশোধ কী ফাইনালে নিতে পারবে মেসিরা। না কি টানা দু-বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়বেন ফ্রান্স। আপাতত সেই উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel