এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শারজায় খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ বিশ্ব ক্রিকেটের উঠতি শক্তি আফগানিস্তান। যারা আবার চলতি এশিয়া কাপেই প্রথম ম্যাচেই ১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচে নেমেছিল আফগানিস্তান দল। আর ম্যাচে পাঁচ উইকেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা। ম্যাচের পর শাকিব বলেন, ‘‘প্রথম সাত-আট ওভারে চার উইকেট পড়ে গেলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়। তাও আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিলাম আমরা। আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা সত্যিই ভাল ক্রিকেট খেলেছে। জানতাম নাজিবুল্লাহ জারদান বিপজ্জনক হতে পারে। উইকেট কিন্তু খারাপ ছিল না। মনে হয়েছিল এই উইকেটে আমরা ভালই করব।’’ 

প্রতিযোগিতার শেষ চারে পৌঁছে খুশি আফগানিস্তানের অধিনায়ক। নবি বলেছেন, ‘‘রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমান বিশ্বমানের স্পিনার এটা সকলেই জানে। ওদের জন্যই আমরা প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচের রাশ নিতে পেরেছি। তাড়াতাড়ি উইকেট তুলে নিতে পারার জন্যই আমরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পেরেছি। ইনিংসের শেষ দিকে চালিয়ে খেলার মতো ব্যাটারও রয়েছে আমাদের দলে। লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। আমরা শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, যেন দ্রুত উইকেট না হারাই। জানতাম হাতে উইকেট থাকলেই আমাদের আগ্রাসী ব্যাটাররা ম্যাচ শেষ করেই সাজঘরে ফিরবে।’’ এদিন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যান টাইগার ব্যাটাররা। মোসাদ্দেক হোসেন ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে সমস্যা আরো বাড়ত বাংলাদেশের। রশিদ এবং মুজিব দুজনেই তিনটি করে উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে একটা সময় তিন উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল আফগান দল। পরবর্তীতে নাজিবুল্লাফের অনবদ্য কাউন্টার অ্যাটাকিং ক্রিকেট ম্যাচের‌ রং বদলে দেয়। তার ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে সহজ জয় পায় আফগানরা।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: