আছে সরকারী উদ্যোগ, রয়েছে বিভিন্নভাবে শিল্পীদের উৎসাহ দেবার প্রকল্পও। কিন্তু সেই অর্থে ভারতীয় শাস্ত্রীয় কলার উন্নতি হচ্ছে না। এমনকি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও গুণগত মান তেমনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না - বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সেণ্টার ফর কালচারাল রিসোর্স এণ্ড ট্রেনিং-এর রিসার্চ অফিসার তথা ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টসের গবেষক ড. রাহুল কুমার। 
রবিবার বর্ধমানের প্রতিভা কালচারাল সেণ্টারের সদ্য নবাগত ক্ষুদে নৃত্যশিল্পীদের কিভাবে জীবনে এগিয়ে যেতে হবে সেই সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রখ্যাত বাঁশি বাদক পণ্ডিত চেতন যোশীও। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন তাঁরা স্বীকার করেছেন, ভারতবর্ষে একদা যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের চর্চা হত এখন তার চর্চা বাড়লেও প্রকৃত শিল্পী সেভাবে উঠে আসছে না। 
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের রিসার্চ অফিসার ড. রাহুল কুমার জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার বর্তমানে ভারতীয় কৃষ্টি ও কলার প্রসার ঘটাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। রয়েছে বিভিন্ন ধাপে স্কলারসিপের ব্যবস্থাও। জেলায় জেলায়, রাজ্যে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেমিনার, বাছাই করা হচ্ছে শিল্পীদের নিয়ে। কিন্তু সংখ্যায় শিল্পীরা বাড়লেও গুণগত মানের শিল্পী পাওয়া যাচ্ছে না। এর মূল কারণ হিসেবে তাঁরা বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রে ভাল গুরু বা গুরুজী না পাওয়াকেই দায়ী করেছেন। 
এদিন প্রতিভা কালচারাল সেণ্টারের নবাগত ক্ষুদে শিল্পীদের কাছে তাঁরা আবেদন রাখেন, প্রকৃত শিল্পী হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তারা যেন এগিয়ে যায়। আর তার জন্য শৃঙ্খলার সাথে সাথে পরিশ্রমের যে কোনো বিকল্প নেই তাও স্মরণ করিয়ে দেন। উল্লেখ্য, এই সংস্থার পক্ষ থেকে দুদিন ব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার পিয়ালী ঘোষ।


Find out more: