২০১৫ সালে চার্জশিটে প্রথম জহিরুল শেখের নাম
উল্লেখ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে ইনদোর এনআইএর হাতে পাকড়াও হলো
খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ কাণ্ডের মোস্ট ওয়ান্ডেট জেএমবি জঙ্গি জহিরুল শেখ। জেএমবির
বর্ধমান মডিউলের অন্যতম ছিল। নদিয়ার থানের পাড়ার বাসিন্দা ছিল এই জেএমবি জঙ্গিয
সিমুলিয়া মাদ্রাসা সে থাকত। এবং সিমুলিয়া মাদ্রাসা থেকে যে কমলা রঙের গাড়ি পাওয়া
গিয়েছিল সেটা জহিরুলের বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। এই গাড়ি করেই সে বিষ্ফোরকের
মশলা, অস্ত্র মুর্শিদাবাদের মুমিকমগর, বেলডাঙা সব ভিভিন্ন ডেরায় পৌঁছে দিত বলে
গোয়ন্দাদের অনুমান। জহিরুলকে গ্রেফতার গোয়েন্দাদের কাছে বিগ ক্যাচ বলেই মনে করা
হচ্ছে। ইতিমধ্যে যে ক’জনের নামে এনআই এ চার্জশিট দিয়েছিল তার মধ্যে ৩৩
জন তাদের হেফাজতে রয়েছে। শুধু সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে বড়ভাই এখনও ধরা পড়েনি।
ইনদোরে আদালতে জহিরুল শেখরে আদালতে তোলা হলে আদালত ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ
দিয়েছে। এনআইএ তাকে কলকাতায় নিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ কাণ্ডেই প্রথম জঙ্গিদের দম্পতি মডিউলের আভাস পাওয়া যায়। এই দম্পতি মডিউলের বিশেষত্ব হলো বর্ডার এরিয়ায় দম্পতি হিসাবে ঘর ভাড়া নিত জেএমবির জঙ্গিরা। তারপর তাদের নির্দিষ্ট কার্যকলাপ চালাত। এই দম্পতি মডিুল ফলো করায় স্থানীয়দের সন্দেহের হাত থেকে অনেকটা নিস্তার পাওয়া যায়। এমনকী ছেলেরা জরি বা অন্য কোনও কাজের নাম করে তাদের ডেরায় বা অন্য কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজ চালিয়ে যেতে পারে কোনও রকম সন্দেহ ছাড়াই। না হলে খাগড়াগড়ে বিষ্ফোণের পর আলিয়া বিবি ও আমিনা বিবি রক্ত পরিষ্কারের কাজে লিপ্ত হতো না।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel