কলকাতায় নিম্নমুখি পারদ (temperature dip)। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার ফের দু’ডিগ্রি পারদ পতন শহরে। কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ আরও দু’ডিগ্রি নেমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পতনের পরে আবহাওয়ার দফতর জানাচ্ছে মরসুমের শীতলতম দিন হল শুক্রবার। পাঁচ বছরে এই প্রথম ১০ ডিগ্রীর ঘরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কলকাতায় ২০১৮ সালে তাপমাত্রা নেমেছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দশ বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা ঢুকলো কলকাতায়।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে, একদিকে যেমন রেকর্ড পারদ পতন হয়েছে অন্যদিকে তেমনি বজায় থাকবে কুয়াশার দাপট। বেশ বেলা অবধি কলকাতা-সহ সারা দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বেলা অবধি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে। তবে বেলা বাড়তেই পরিষ্কার হবে আকাশ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।  

কলকাতার তুলনায় নতুন বছরের শুরু থেকেই কনকনে শীতের দাপট ছিল দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ জুড়ে। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী পুরুলিয়ায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও নামবে এবং ঠান্ডার দাপট আরও বেশ কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের। বাঁকুড়ায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ছিল ১১.৩ ডিগ্রি। এখানে একধাক্কায় ৪ ডিগ্রি নেমে জেলার পারদ এখন ৭.৮ ডিগ্রির ঘরে। বর্ধমানের পারদ নেমেছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার সেখানে তাপমাত্রা কমেছে আরও কিছুটা। ভোর থেকে জেলাগুলির চেহারা প্রায় এক ছিল বললেই চলে, সকাল প্রায় সাতটা পর্যন্ত ঠান্ডার দাপটে রাস্তাঘাট শুনশান ছিল। পারদে রেকর্ড পতনে শীতে জুবুথুবু পথচারী ও সাধারণ মানুষ। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। ভোর থেকেই রাস্তার ধারে বসে আগুন পোহাতে দেখা যায় মানুষকে।

একই অবস্থা উত্তরবঙ্গে। এখানেও এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে প্রায় ৪ডিগ্রি। ফলে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। দার্জিলিং তাপমাত্রা নেমেছে ৪ ডিগ্রিতে। কালিম্পঙে ৭ ডিগ্রিতে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: