জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী।নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্নে আশাবাদী তিনি। সেই স্বপ্নে সন্ত্রাসবাদের অবসান হবে, পরিকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইবে, যুব সম্প্রদায় কাজ পাবে— সর্বোপরি জগৎসভায় উপত্যকা আবার ফিরে পাবে ভূস্বর্গের মুকুট।৩৭০ ধারা থাকাকালীন সেখানের কি কি ক্ষতি হয়েছে এবং এই ধারা তুলে নেওয়ার পর বাসিন্দারা কিভাবে লাভবান হবে সেইসব প্রতিশ্রুতি মেলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন অন্ধকার যুগের অবসান হল ও এক নতুন যুগের সূচনা হল।

তিনি তাঁর ভাষণে বলেন  ‘‘৩৭০ ধারা কার্যকরী থাকায় জম্মু-কাশ্মীর পেয়েছে শুধু সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, পরিবারবাদ এবং দুর্নীতি। জনকল্যাণে সংসদে যে সব আইন তৈরি হত, তা কার্যকরী হত না উপত্যকায়। কেন্দ্রের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতেন না। এমনকি, চাকরিতে সংরক্ষণ, তথ্য জানার অধিকারের মতো আইনও সেখানে কার্যকরী ছিল না। সেই সব থেকে মুক্ত হয়ে এক নতুন জম্মু-কাশ্মীর আত্মপ্রকাশ করেছে।’’ কেন্দ্রের অধীনে থাকাকালীন সেখানে সমস্ত কিছুর উন্নয়ন হবে বলেই আশাবাদী তিনি।

লাদাখের জন্য জনকল্যাণমূলক কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন  ‘‘লাদাখ হয়ে উঠতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার ভেষজ সম্পদ বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। সৌরশক্তি উৎপাদনে নতুন পথ দেখাতে পারে লাদাখ।’’ সর্বোপরি সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

কাশ্মীরবাসিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ‘‘আসুন সবাই মিলে সন্ত্রাসমুক্ত, বিচ্ছিন্নতাবাদমুক্ত এমন এক শান্তির উদ্যান গড়ে তুলি কাশ্মীরকে, যাতে সারা বিশ্বে নজির তৈরি হবে।’’  

 

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: