রাজীব কুমার সিবিআইকে যে বার্তা দিয়েছিলেন সেই শেষ বার্তা অনুযায়ী বুধবারেই তাঁর ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ওই পুলিশকর্তার খোঁজে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে হাজির হয় সিবিআই। কিন্তু রাজীব নিজের কর্মস্থলে আসেননি। ‘‘আমরা ফের নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ করছি,’’ বলেন এক সিবিআই-কর্তা।

অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির আর্থিক তছরুপের মামলায় সম্প্রতি যখন রাজীবকে ডাকা হয়, তিনি লিখিত ভাবে সিবিআই-কে জানান, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পরে এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তিনি রাজ্য প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে এখনই সিবিআইয়ের কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রাজীবের এই যুক্তির বিপক্ষে সিবিআইয়ের প্রশ্ন, এতই যদি তিনি গুরুত্বপূর্ণ হন, তা হলে এত দিন ছুটি নিলেন কী ভাবে? রাজ্য প্রশাসনও তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না! এত গুরুত্বপূর্ণ অফিসারকে বাদ দিয়ে রাজ্য কী করে চলছে! রাজীবকে অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা হোক, দাবি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের।

সারদা-কাণ্ডে হাইকোর্টে রাজীবের আগাম জামিনের মামলার শুনানি বৃহস্পতিবারেও শেষ হয়নি। বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন প্রথমার্ধে সওয়াল করেন রাজীবের কৌঁসুলিরা। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা সওয়াল করেন দ্বিতীয়ার্ধে । তাঁদের সওয়াল এ দিন শেষ হয়নি।আজ পুনরায় তারা সওয়াল জবাব করবেন।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: