ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (EPL) শুরু হতে আর ঠিক এক সপ্তাহ বাকি। লিগ জয়ের ব্যাপারে আবারও নিঃসন্দেহে ফেভারিট ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। গত মরশুমে ত্রিমুকুট জিতেছিল পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) দল। অর্থাৎ একই মরশুমে ইপিএল, এফএ কাপ (FA Cup) আর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League) ট্রফি ঢুকেছিল ক্লাবে। খাতায় কলমে এখন ইউরোপের সেরা ক্লাব দল ম্যান সিটিই। কিন্তু এই সুদিনেই চাপে রয়েছেন গুয়ার্দিওলা। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হারানোর ভয় পাচ্ছেন তিনি। তার জন্য 'দোষ' দিচ্ছেন ত্রিমুকুট জয়কেই!

দলবদলের মরশুমে এখন পর্যন্ত একজনকেই কিনেছেন পেপ, চেলসির মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচকে (Mateo Kovacic)। কিন্তু ইতিমধ্যেই দল থেকে ইলকায় গুন্দোয়ান বার্সেলোনা এবং রিয়াদ মাহরেজ (Riyad Mahrez) সৌদির ক্লাব আল আহলিতে চলে গিয়েছেন। ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কাইল ওয়াকার (Kyle Walker) এবং বার্নার্দো সিলভার (Bernardo Silva)। পেপ বলছেন, এতদিন তাঁর ফুটবলাররা ইপিএল জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেনি, তাই ক্লাবের হয়ে সেই ট্রফি জিততে মরিয়া ছিল। এবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করার পর অনেকেরই মনে হচ্ছে, এবার নতুন কিছু চেষ্টা করার। অন্য কোনও দেশে, অন্য লিগে, অন্য কোনও ক্লাবের হয়ে। ম্যান সিটির হেডস্যর কিন্তু এতে খেলোয়াড়দের কোনও দোষ দেখছেন না।

পেপ কাউকে আটকাতেও চান না। তবে ফুটবলারদের কত অর্থের বিনিময়ে ছাড়া হবে তা সম্পূর্ণ ক্লাবের হাতে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়াকার এবং সিলভাকে নিতে হলে দুই ক্লাবকে চুক্তিতে আসতে হবে না হলে ছাড়া হবে না, কারণ ওরা দুজনেই বিরাট মাপের খেলোয়াড়। বোঝাই যাচ্ছে, দুই তারকার বিক্রয়মূল্য আকাশছোঁয়া করে রেখেছে সিটি। পেপ বলেছেন, "যখন আমরা এ ধরনের খেলোয়াড়দের হারাই, বাজার থেকে তাদের পরিবর্ত কিনতে হয়। আর এই মানের খেলোয়াড় ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৫০ মিলিয়নে পাওয়া যায় না। তার থেকে বেশি খরচ করতে হয়।

প্রসঙ্গত, বার্নার্দো সিলভাকে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বার্সেলোনা এবং কাইল ওয়াকারকে দলে টানতে চায় বায়ার্ন মিউনিখ। যতদূর জানা যাচ্ছে, এই দু’জনের দলবদলে সম্মতি আছে। তা নিয়ে পেপ বলেছেন, “আমি প্রথম দিন থেকে বলে আসছি, আমি এমন কোনও খেলোয়াড়কে চাই না যে এখানে থাকতে চায় না। যারা থাকতে চায়, আমার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে চায়, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।”

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: