নির্বাচন কমিশনের ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞার উঠতেই বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় যান মমতা। মাধাভাঙার জনসভা থেকেই শীতলখুচির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভোট মিটলে ঘটনার শীতলখুচি নিয়ে তদন্ত হবে। আনন্দ বর্মণকে যারা খুন করেছে, তাদের আমরা ধরবই। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নারাজ ছিল আনন্দের পরিবার। তবে শেষমেশ মাথাভাঙায় মমতার জনসভার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন আনন্দের দাদু ও মামা।

এদিনের স্মরণসভায় মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। ছোট ছোট ছেলেরা মারা গিয়েছে। দেখলাম একজনের স্ত্রী গর্ভবতী। একজনের বাচ্চা একেবারে শিশু। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়ার প্রয়োজন। যারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবই। ভোটটা মিটে যাক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা তদন্ত করা যায় তা আমরা করব। আপনারা জানেন ঘটনার পরদিনই আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আপনারা শান্ত থাকুন। উত্তেজিত হবেন না। দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি পাবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা শাস্তি পাবেই। মৃত্যুর বিকল্প অর্থ হয় না। তবে নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে অন্য যারা নিহত হয়েছে তাদেরও সাহায্য করা হবে।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটে ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলখুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হন ১৮ বছরের আনন্দ। জীবনে প্রথম বার ভোট দিতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি। শীতলখুচির ভোটে এর পরেও হিংসা অব্যাহত ছিল। ওই কেন্দ্রের অন্য একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আরও ৪ জন। গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: