দাদা প্রেসিডেন্ট হলেন,দিদি শুভেচ্ছা জানালে ধন্যবাদও জানালেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করল তাহলে কি দাদা রাজ্য বিজেপির মুখ্ হচ্ছেন? মুম্বইয়ে সোমবার সৌরভকেই সরাসরি প্রশ্ন করা হয়—শাহের সঙ্গে আপনার বৈঠক হয়েছে, আপনি কি বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন? সৌরভের সাফ জবাব, ‘‘না, না। এমন কিছুই নয়। আমাকে এই বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি।’’ একই প্রশ্ন করা হয় বিজেপি সভাপতিকেও। সৌরভের সঙ্গে কোনও ‘ডিল’ হয়েছে? বাংলায় বিজেপির মুখ হচ্ছেন সৌরভ? অমিতেরও উত্তর: ‘‘সৌরভের সঙ্গে কোনও ‘ডিল’ই হয়নি। এমন কথা বলা হলে সেটা সৌরভের জন্য অপপ্রচার।’’ কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সৌরভ বিজেপিতে আসেন? বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, ‘‘ভারতের যে কোনও নাগরিককেই বিজেপিতে স্বাগত।’’

একদিকে যেমন সৌরভ যেমন বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, তেমনই অমিত-পুত্র জয় হচ্ছেন সচিব আর বিজেপিরই মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ভাই অরুণ হচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ। নতুন দায়িত্বের জন্য সৌরভকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু একই সঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সৌরভ এই দায়িত্ব পাওয়ায় নিশ্চয়ই গর্বিত। তবে এ জন্য তাঁকে যদি কারও সঙ্গে বৈঠক করতে হয়, তা একই সঙ্গে দুঃখ ও হতাশার। ক্রিকেটার হিসেবেই তিনি এই দায়িত্বের জন্য যোগ্য। অন্য কোনও সুপারিশের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’’

অধীর চৌধুরী বলেছেন ‘‘সৌরভ আইডল। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্রিকেটেরই সুবিধা হবে। কিন্তু হঠাৎ সৌরভকে বিসিসিআই প্রধান এবং অমিত শাহের ছেলেকে বড় পদ! কী রকম, কী রকম লাগছে। অনেকে ভাবতে পারেন, সৌরভকে বিজেপি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরবে। সৌরভকেই সেটি ঠিক করতে হবে।’’ কলকাতায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, ‘‘বাঙালির জয়জয়কারের দিন। সৌরভ ক্রিকেটার হিসেবেই এই দায়িত্বের জন্য যোগ্য। কারও দয়ার কিছু নেই। তবে বোর্ডের সচিব পদে যিনি এসেছেন, কোনও দিন তিনি ক্রিকেট খেলেছেন কি না সন্দেহ থাকলেও অল্প সময়ে আয় বাড়ানোর ব্যাপারে অনেকগুলো সেঞ্চুরি করেছেন! আশা করি, সৌরভ সব সামলেই যোগ্যতার পরিচয় দেবেন। বাকিটা ভবিষ্যৎ বলবে।’’ 

 বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘সৌরভকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। খেলোয়াড় জীবনে যেমন করেছেন, তেমন ক্রিকেট প্রশাসনেও তিনি দাদাগিরি করুন।’’ সৌরভকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার আহ্বায়ক, অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সামাজিক মাধ্যমে সৌরভের নাম না করে লিখেছেন, বাম আমলে সিপিএমের কাছ থেকে  এবং তৃণমূল আমলে তৃণমূলের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন তিনি। এ বার বিজেপির পালা!

মমতা টুইটে বলেছেন  ‘আপনি ভারত ও বাংলাকে গর্বিত করেছেন। সিএবি’র সভাপতি হিসেবেও আপনার কাজে আমরা গর্বিত। আগামী ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’ মুম্বইয়ে দিদির শুভেচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ‘দাদা’ও মুচকি হেসে বলেন, ‘‘মমতা দিদিকে ধন্যবাদ শুভেচ্ছার জন্য!’’

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: