বৃহস্পতিবার রাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করে দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এখন বিল থেকে আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। এই বিল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার আগে থেকেই দেশের উত্তর-পূর্বাংশে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। এর জেরে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।

পশ্চিমবঙ্গে তেমন কোনও অশান্তির সৃষ্টি না হলেও আজ শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ-ভাঙচুর শুরু করেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ দেখানো হয় ক্যাবের বিরুদ্ধে। ফলে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে সমস্যা অনেক বেশি তৈরি হয়েছে, উলুবেড়িয়া,খড়দহ, ডায়মন্ড হারবার, বিড়া,গুমা সহ  মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায়। সেখানে রেল অবরোধ, স্টেশনে ভাঙচুর হয়েছে বলেও খবর মিলেছে। উলুবেড়িয়াতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। সমস্ত স্টেশন খালি করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে সড়কপথে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বৃহস্পতিবার মাঝ রাত থেকে চালু হয়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি এই বিলের সিল মারার পরেই দেশের আরোও দুই মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

লোকসভায় ভোটাভুটিতে বিল পাশের পর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য অসম ও ত্রিপুরা। জারি করা হয়েছে কার্ফু। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী। পথে নেমেছে কলেজ পড়ুয়ারা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।

এনআরসি-র বিরোধিতা করেছিলেন প্রথম থেকেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি নিয়েও অনড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁরই সুরে সুর মেলালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমারিন্দর সিং এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যে কোনও মূল্যে নাগরিকত্ব বিল তাঁদের রাজ্যে আটকানো 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: