দ্য ফ্যাক্ট ইনফো : মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কী ভাবে হবে তা শুক্রবার ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদ। এদিন পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে ৫০-৫০ ফর্মুলায়।

কিন্তু সেটা কীভাবে ?

২০২১-সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে, নবম শ্রেণি ফলাফলের ৫০ শতাংশ এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফর্মেটিভ অ্যাসেসমেন্টে টেস্টের নম্বরের ৫০ শতাংশ যোগ করে। কোনও পরীক্ষার্থী এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে। তবে পরীক্ষায় বসলে তখন যে রেজাল্ট পাওয়া যাবে সেটিই ফাইনাল নম্বর হিসবে বিবেচিত হবে।

এবার উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন কীভাবে হবে ?

সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, ২০১৯ সালের মাধ্যমিকে যে চারটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে পরীক্ষার্থী তার সেই প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ। তার সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির প্রজেক্ট (২০ নম্বর) বা প্র্যাক্টিকালের (৩০ নম্বর) নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে।এক্ষেত্রেও কোনও পরীক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, তিনিও পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন।

এই মূল্যায়ন সংসদের সভাপতি উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। সেটি কীরকম একবার দেখে নেওয়া যাক -

মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ। অর্থাৎ ৭০ এর ৪০ শতাশং= ২৮। কোনও পড়ুয়া যদি মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া চারটি বিষয়ে অর্থাৎ ৪০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর পান তা হলে তাঁর ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ২৮x২০০/৪০০= ১৪।

একাদশ শ্রেণির ৬০ শতাংশ ওয়েটেজ। ৭০-এর ৬০ শতাংশ= ৪২। কোনও পরীক্ষার্থী (পদার্থবিদ্যায়) একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় কোনও বিষয়ে ৭০-এর মধ্যে ৫০ পান, তাহলে একাদশ শ্রেণির ওয়েটেজ অনুযায়ী সেই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৪২x ৫০/৭০= ৩০। তা হলে সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হল ১৪+৩০+২৮=৭২। এই মূল্যায়ন প্রযোজ্য হবে প্র্যাক্টিকাল রয়েছে সেই সব বিষয়ের ক্ষেত্রে। তবে আর্টস এবং কমার্সের ক্ষেত্রে পূর্ণমান ৭০ এর জায়গায় ৮০ এবং প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর ৩০-এর জায়গায় ২০ হবে। এবং একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: