বীর সম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে অনুব্রতকে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ মঞ্চ থেকেই এই নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আরও ৩ গুণ লড়াই করার আহ্বান জানান মমতা। তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, 'বীরভূমের কে কে আছেন, একটু উঠে দাঁড়ান দেখি। কেষ্ট না ফেরা অবধি লড়াই আরও ৩ গুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। বীরভূম জেলা হারতে জানে না। হারতে শেখেনি। কেষ্টকে বন্দি করে ভাবছে, সাংসদের আসনটা দখল করবে! সেই গুড়ে বালি। যতদিন কেষ্ট না বের হচ্ছে, লড়াই ৩ গুণ বাড়বে। ভাবছে, তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেফতার করলেই, কর্মীরা ভয় পেয়ে যাবে!' অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, “বেচারা কেষ্টর নিজেরই শরীর খারাপ। বগটুইয়ের ঘটনার সময়ও কেষ্টকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে ওঁকে নজরবন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কি কেষ্টকে আটকানো সম্ভব হয়েছে? ভাবছেন কেষ্টকে জেলে বন্দি করে রেখে লোকসভার দুটি আসন দখল করবেন? সে গুড়ে বালি।”

অন্যদিকে, দেবী কালী নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের সময়ে পাশে ছিল না তৃণমূল। তবে প্রকাশ্যে তাঁকে কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি যে ক্ষুব্ধ তা দলের বিভিন্ন নেতা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এ বার সাংগঠনিক এলাকা ভাগ নিয়েই মহুয়াকে ধমক দিলেন মমতা। জানিয়ে দিলেন, নিজের লোকসভা এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বুথ কর্মী সম্মেলনে মমতার ধমক খেতে হয় সাংসদ মহুয়াকে। বক্তৃতা করার সময়েই মমতার নজর পড়ে মহুয়ার দিকে। তখনই তিনি বলেন, ‘‘করিমপুর আর মহুয়ার জায়গা নয়। ওটা আবু তাহেরের জায়গা। উনি দেখে নেবেন। তুমি তোমার লোকসভা নিয়ে থাকো।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমবার করিমপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে তাপস পালের বদলে কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে প্রার্থী করে তৃণমূল। ভোটে জিতে নিজের বিধায়কপদ ছেড়েও দেন মহুয়া। ওই আসনে উপনির্বাচনে জেতেন বিমলেন্দু সিংহ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: