বন্ধুত্ব! শব্দটার মানেই আলাদা, একটা অনুভূতি! বলা ভালো অনেকটা -'সবকিছু'! যার কোনও সময় হয় না, যার কোনও বয়স হয় না। আর সেটা যদি স্কুলের বন্ধুত্ব হয়, তাহলে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। হ্যাঁ, এটাই সত্যি! আর এই বন্ধুত্বকে নিয়েই চলতি বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে 'আবার বছর কুড়ি পরে' ছবিটি। ১১ অগাস্ট এই ছবির ফার্স্ট লুক মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু কেন দেখবেন এই ছবিটি ? তাহলে পাঁচটি পয়েন্ট দেখে নেওয়া যাক-
 
১) বন্ধুত্ব নিয়ে ছবি এই প্রথম, এমনটা নয়! তবে এই ছবিতে ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে দিয়ে নব্বইয়ের দশককে তুলে ধরা হয়েছে।অরুণ, বনি, দত্ত আর নীলা বিভিন্ন শহরে থেকেও কুড়ি বছর পর একত্রিত হবে। কীভাবে? সেখানেই রয়েছে গল্পের আসল ম্যাজিক। এমনটাই মত, প্রযোজক অনিমেষ গাঙ্গুলির।

২) সবচেয়ে বড় কথা স্কুলজীবনের দিনগুলোয় একবার ফিরে যেতে কে না চায়! মনের গোপন কুঠুরিতে আজও তাদের ঠিকানায় ধুলো পড়েনি। সময় পেলেই চট করে ঢুকে পড়তে চায় সেই নস্ট্যালজিয়ার গলিতে। এরকম কতগুলো দৃশ্য সিনেমার পর্দায় দেখেত সবাই চায়। কি তাই তো ?

৩) এই ছবিতেই প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় আর আবির চট্টোপাধ্যায়। থাকছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অভিনয় যে আলাদা মাত্রা ছোঁবে সেটা কি আর বলতে লাগবে ? অন্তত এমনটা আশা করাই যায়।


৪) টেকনোলজির যুগে সবাই সবাইকে দেখতে পায়, চ্যাটিংয়ের দৌলতে বন্ধুত্বটুকু বেঁচে আছে মাত্র। এই অবস্থায় এরকম ছবি সত্যি মন ভালো করার অব্যর্থ মেডিসিন হতেই পারে!
৫) ছবির কাস্ট বেশ সমৃদ্ধ। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রবি শাহ, স্বাগতা বসু, প্রসূন দাশগুপ্ত, রাজর্ষি নাগ, অরিত্র দত্ত বণিক প্রমুখ অভিনেতারা। পর্দায় আবিরের ছোটবেলার ভূমিকায় আর্য দাশগুপ্ত। অর্পিতার ছোটবেলার ভূমিকায় দিব্যাসা দাস। তনুশ্রীর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তানিকা বসুকে।

তাই স্কুলের গল্প, শৈশব আর নস্ট্যালজিয়ায়, সঙ্গে রয়েছে রিইউনিয়ান! এরপরেও কি এই ছবি মিস করতে চাইবেন ? যদিও প্রেম আছে কি না সেই প্রশ্ন আপনাদের মনে উঁকি দিচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে, তবে সেই সাসপেন্স বা সারপ্রাইজ সিনেমা হলে পেলে মন্দ লাগবে না বোধহয়! তাই মাত্র কয়েকটা মাস অপেক্ষা...আসছে 'আবার বছর কুড়ি পরে'  

আর হ্যাঁ, পিএসএস এন্টারটেনমেন্ট এন্ড প্রোমেদ ফিল্মস-এর এই ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রণজয় ভট্টাচার্য। ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছেন প্রতীপ মুখোপাধ্যায়।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: