যেন থ্রিলার। ব্যর্থ হল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুরন্ত হ্যাটট্রিক। পর পর তিন বলে মার্করাম, বাভুমা ও প্রিটোরিয়াসকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন হাসরঙ্গ। শ্রীলঙ্কার হয়ে টি২০ ক্রিকেটে এটি চার নম্বর হ্যাটট্রিক। জলে যায় পাথুম নিসঙ্কার অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরিও। শারজায় প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।

টসে জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। পাথুম নিশঙ্ক ছাড়া শ্রীলঙ্কার অন্য কোনও ব্যাটারকে দেখে মনে হল না নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তাঁরা খেলতে নেমেছেন। এক দিকে তরুণ নিশঙ্ক যখন বুদ্ধি করে দলের রানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, অন্য দিকে তখন বাজে শট খেলে একের পর এক ব্যাটার নিজেদের উইকেট হারালেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি স্পিনার তাব্রাইজ শামসি ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। তাঁর ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে আউট হন তিন ব্যাটার। তবে শ্রীলঙ্কা সব থেকে বড় ধাক্কা খায় ফর্মে থাকা অসলঙ্ক রান আউট হওয়ায়। শেষের দিকে প্রিটোরিয়াসও তিন উইকেট নেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। নিশঙ্ক ৫৮ বলে ৭২ রান করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল যেন শ্রীলঙ্কা জেতার মুখে দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেখানেই ঘটল মিরাকেল। তাই ক্রিকেট এতো অনিশ্চয়তার খেলা। শেষ ওভারে দু’টি বিশাল ছক্কা মেরে খেলা ঘুরিয়ে দেন মিলার। এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলার ১৩ হলে ২৩ করে অপরাজিত থাকেন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: