জামিন পাওয়ার পরেই সংসদে আসছেন চিদম্বরম। তাঁর পুত্র জানিয়েছেন আগামীকাল থেকেই তিনি শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেবেন। বুধবারই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা অর্থমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে রয়েছে একাধিক শর্ত। যদিও রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ সংসদে যোগ দিতে পারবেন না, এমন কোনও শর্ত শীর্ষ আদালত চাপায়নি বলে দাবি চিদম্বরম পুত্রের।
আইএনএক্স মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়ে ১০৫ দিন জেলহাজতে থাকার পর আজ বুধবার চিদম্বরমকে শর্তাধীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সব শর্তের মধ্যে রয়েছে, তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হবে তাঁকে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত, এই আইএনএক্স মিডিয়া মামলা নিয়ে কোনও বিবৃতি বা বক্তব্য পেশ করতে পারবেন না।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরেই চিদম্বরমপুত্র কার্তি বলেন, ‘‘আগামিকাল বেলা ১১টাতেই তাঁকে (পি চিদম্বরম) সংসদে দেখা যাবে বলে আশা করতে পারেন। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি কাল সংসদে যাচ্ছেন।’’ চিদম্বরম তামিলনাড়ু থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
চিদম্বরম জামিন পাওয়ার পর কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে প্রথম মুখ খুলেছিলেন কার্তিই। খবর পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর টুইট, ‘‘১০৬ দিন পর স্বস্তি।’’ পরে তিনি বলেন, আমি খুব খুশি যে বাবা বাড়িতে আসছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ছিল। আদালত শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দেওয়ায় আমি ভীষণ খুশি।’’
বিজেপি যদিও চিদম্বরমের জামিন পাওয়াকে কটাক্ষই করেছে। দলের নেতা সম্বিত পাত্রের তির্যক মন্তব্য, ‘আউট অন বেল ক্লাব’-এ আরও এক জন যুক্ত হলেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সময় ‘জামিনে মুক্ত আছেন’ বলে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে খোঁচা দিয়েছিলেন। সম্বিতও সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ইঙ্গিত।
তবে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কার্তিক। রাফাল দুর্নীতিতে আদালতে সিল করা খামে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। চিদম্বরমের জামিন মামলাতেও একই কৌশল নেওয়ায় আদালত এ নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছে। সেই দিকে ইঙ্গিত করে কার্তিক বলেন, ‘‘যদি ওঁদের কাছে প্রমাণ থাকে, তাহলে আদালতে জমা দিন অথবা আমাদের দিন। কিন্তু সিল করা খামের আড়ালে লুকনোর কৌশল নেবেন না।’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel