কুইন্স পার্ক ওভালে শুরু হতে চলেছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে চনমনে ভারতীয় শিবির। এই ম্যাচ জিতে ক্লিন সুইপ করার লক্ষ্যে নামতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে এই টেস্ট ম্যাচে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলকে। তবে ব্যাটিং অর্ডারে কোনওরকম পরিবর্তন হচ্ছে না।  

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকেই নজর কেড়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁর ১৭১ রানের ইনিংস সাড়া ফেলেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। ভারতীয় শিবিরেও প্রশংসিত হচ্ছেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলেছেন, ‘অতীতে নির্বাচক ছিলাম। তাই জানি, অন্তত ১০ বছরের কথা ভেবে একজন ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হয়। যশস্বীর মধ্যে সেই সক্ষমতা রয়েছে।’

ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের নিরিখে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন ২১ বছর বয়সি যশস্বী। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাঠোর বলেছেন, ‘আইপিএলেই দেখা গিয়েছে, ওর হাতে বিভিন্ন রকমের শট রয়েছে। তবে টেস্টে পরিস্থিতির কথা বিচার করে একেবারে অন্যরকম খেলেছে ও। যেমন দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগে প্রায় ৯০ বল খেলে মাত্র ২০ রান করেছিল। আমার কাছে ওর শতরানের এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। চরিত্রবিরোধী ইনিংস খেলার দক্ষতা দেখিয়েছে যশস্বী।’

তবে তিন নম্বরে নেমে রান পাননি শুভমান গিল। টেস্টে দুটো শতরান সত্ত্বেও তাঁর গড় ৩২-এর নীচে। যদিও তা নিয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নয় টিম ইন্ডিয়া। রাঠোরের মতে, ‘দুর্দান্ত প্রতিভা গিলের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করেছে ও। টেস্টেও রান করেছে। তবে সেটা প্রত্যাশা মাফিক নয়। আসলে কোনও কোনও ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করতে একটু সময় লাগে। গিল সেই সময়টাই নিচ্ছে। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে, ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ও-ই।  তিন ফরম্যাটেই দীর্ঘদিন দেশের হয়ে খেলবে গিল।’

রাঠোর আরও বলেছেন, ‘পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখছে না। টেম্পারামেন্ট নিয়েও কথা হবে না। আর টেম্পারামেন্টই কিন্তু তফাত গড়ে দেয়। ও নিজেই ৩ নম্বরে ব্যাট করতে চেয়েছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ও ৩-৪ নম্বরে নামে। টেস্টেও সেই জায়গাতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। মাত্র একটা ইনিংস দেখে ওর বিচার করলে ভুল হবে। ও স্ট্রোক প্লেয়ার। গিলের মতো কেউ তিনে নামা মানে বিশাল সুবিধা।’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: