ইন্দোরের আকাশ আজ মেঘমুক্ত, নীল। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং ঢাকা পড়েছে ঘন কালো মেঘে। যে স্পিন অস্ত্রে প্রথম দুই টেস্টে কাবু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (Australia), তাতেই ঘায়েল ভারত (India)। লাঞ্চের সময় ৮৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) অ্যান্ড কোং। পুজারা, কোহলি সবাই প্যাভিলিয়নে।

ইন্দোরের পিচ বরাবর পাটা, ব্যাটারদের স্বর্গ। র‍্যাঙ্ক টার্নার যাকে বলে তা তৃতীয় দিন থেকে হয়ে ওঠে। এই টেস্টে কিন্তু প্রথম দিন, প্রথম সেশন থেকে বল ঘুরছে। তার থেকেও বিপজ্জনক, নিচু হয়ে যাচ্ছে। পুজারার শট সিলেকশন ভুল ছিল ঠিকই কিন্তু বল এতটা নিচু হবে তিনি ভাবতে পারেননি। ভারতের যদি এই অবস্থা হয়, অশ্বিন-জাদেজাদের সামনে অস্ট্রেলিয়ার কী হবে ভগবান জানেন। এই টেস্ট তিনদিন চললে বিরাট ব্যাপার।    

শ্রীকর ভরতকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), কিন্তু টড মারফির বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন তিনি। শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) আগে জাদেজাকে নামানোর সিদ্ধান্তও কার্যকর হল না। এলবিডব্লিউ হতে হতে বেঁচে গিয়ে তার পরের বলেই ক্যাচ আউট তিনি। শ্রেয়সও প্লেড অন হলেন। এলবিডব্লু হলেন ভরতও।  

অবশেষে কে এল রাহুলকে (KL Rahul) শুভমান গিলকে (Shubman Gill)। খেলানো হয়েছিল। তিনি শুরুটা ভালোই করেছিলেন। পেসারদের বিরুদ্ধে বাউন্ডারি মারলেন তিনটে। ১৮ বলে ২১ রান করে বাঁ হাতি স্পিনার কুনেমানের বলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। রোহিত শর্মা স্বভাববিরুদ্ধ শট খেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হলেন।

এদিকে এই সিরিজে প্রথমবার টসে জিতলেন রোহিত। টসে জিতে ব্যাট নিয়ে বড় রান চাপানোই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু দুই অজি স্পিনারের দাপটে এখন ধুঁকছে ভারত। ম্যাথিউ কুনেমান (Matthew Kuhnemann) নিয়েছেন তিন উইকেট এবং নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon) তিনটি। কোহলির উইকেট নিয়েল মারফি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: