হল না কোনও রূপকথা! বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে (India) রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। স্টিভ স্মিথের (Steve Smith) দল জিতল ৯ উইকেটে। তৃতীয় দিনে লাঞ্চ পর্যন্তও গড়াল না ম্যাচ। ট্রাভিস হেড (Travis Head) এবং মার্নাস লাবুশেনের (Marnus Labuschagne) পাল্টা মারে ১৮.৫ ওভারেই খেলা শেষ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নেওয়া নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon) ছাড়া ম্যান অফ দ্য ম্যাচ কাউকে ভাবা যাচ্ছে না।

যে পিচে দুই দিনে ৩০ উইকেট পড়ল সেখানে অদ্ভুত অবলীলায় রান করলেন হেড (৫৩ বলে ৪৯) এবং লাবুশেন (৫৮ বলে ২৮)। ইন্দোরের রাফ পিচে পড়ে সেলাই ছিঁড়ে গিয়েছিল নতুন বলের। সে সময় ১২ রানে এক উইকেট হারিয়ে জড়োসড়ো অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া। প্রায় প্রতি বলেই আউটের অ্যাপিল করছেন কোহলিরা। বল পরিবর্তন হতেই বদলে গেলেন হেড। অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) পরপর ছয় এবং চার মারলেন। পরের ওভারের প্রথম বলে আবার জাদেজাকে (Ravindra Jadeja) চার। খেলার নিষ্পত্তি হয়ে যায় ওই সময়টাতেই।

হেডকে দেখে খোলস ছেড়ে বেরন লাবুশেনও। জাদেজাকে সুইপ করে চার মারেন। এরপর খেলা শেষ হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। দেখে মনে হচ্ছিল পাটা উইকেটে খেলছেন দুই অজি ব্যাটার। অথচ দু’ দিন ধরে এই পিচ কী খেলই না দেখিয়েছে। প্রথম দিন থেকে বল ঘুরেছে, নিচু হয়েছে, লাফিয়েছে। কোন বল কী করবে বোলাররাও বুঝতে পারছিলেন না।

সেই কারণেই একটা ক্ষীণ আশা ছিল। স্পিন খেলায় দুর্বল অস্ট্রেলিয়াকে পেড়ে ফেলতে পারবেন অশ্বিন-জাদেজারা, ভেবেছিলেন বহু ভারতীয় সমর্থক। কিন্তু কিছুই হল না। বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ ২-১ করল অজিরা। ম্যাচ শেষে ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই হারের কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নাথান লিয়ঁদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাঁদের আরও বেশি সাহসী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: