আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশ জুড়ে জাতীয় সড়কগুলিতে চালু হতে চলেছে ফাস্ট ট্যাগ টোল পদ্ধতি।  জাতীয় সড়কগুলিতে টোল প্লাজায় টোল ট্যাক্সের টাকা দিতে গিয়ে গাড়ির গতি রুদ্ধ হওয়া ঠেকাতে এবং সময় সংক্ষেপের জন্য এই ফাষ্ট ট্যাগ চালু হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার টোটো নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠকের পাশাপাশি এই নতুুুন পদ্ধতির সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হলো। কিন্তু জানা গেছে, এখনও অধিকাংশ টোল প্লাজাতে এব্যাপারে পুরোপুরি পরিকাঠামোই গড়ে ওঠেনি। বস্তুত, বৃহস্পতিবার পুর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের এই বৈঠকে এই পরিকাঠামোর অভাবের দিকটি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন জাতীয় সড়কের প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে কিছু প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ফাষ্ট ট্যাগের জন্য আলাদা লেন ছাড়াও আরও কিছু লেন বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রস্তাব রাখা হয়েছে পুলিশ, ভিআইপিদের গাড়িগুলিকে নিখরচায় পৃথক লেন দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়ার। এছাড়াও যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই ফাষ্ট ট্যাগ চালু হতে চলেছে তা সফল করতে নির্দিষ্ট টোল প্লাজার অনেক আগে থেকেই চালকদের অবগতির জন্য চোখে পড়ার মত ডিসপ্লে বোর্ড দেওয়ার প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফাষ্ট ট্যাগ পাবার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আরও কাউন্টার খোলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

এদিন জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে ২নং জাতীয় সড়কে রয়েছে মাত্র ৩টি কার পার্কিং জোন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্টই কম। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে আরও পার্কিং জোন বাড়ানোর জন্য বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সদুত্তর মেলেনি। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে ২নং জাতীয় সড়ক তথা এই জাতীয় সড়কের ফোর লেনকে বাড়িয়ে ৬ লেন করার জন্য কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে ২নং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: