কাশ্মীর সমস্যাকে বেশিরভাগই ভারত পাকিস্তানের ঘরোয়া সমস্যা বলেই মানছেন। তবুও সেখানে মানবাধিকারকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে বা, সেই নিয়ে পরবর্তী চিন্তাভাবনা কি রয়েছে মোদীর, সেই সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। সেই সব তিনি শুনতে চান খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকেই। আগামী ২৬ অগস্ট, ফ্রান্সে জি-৭ জোটের দেশের শীর্ষ সম্মেলেনের সময় পার্শ্ববৈঠকে বসার কথা ট্রাম্প ও মোদীর। সেখানেই উঠতে পারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ।শনিবার এ কথা বলেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা।
ঐ কর্তার কথানুজায়ী ‘‘আশা করছি, এ বার আলোচনায় (ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে বৈঠক) ভারত ও পাকিস্তানের ইস্যুটি উঠবে। বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ হিসাবে কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষা ও ভারতীয় উপমহাদেশে অস্থিরতা নিরসনে কী কী ভাবনা রয়েছে, তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই শুনতে চাইতে পারেন প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প)।’’
গত মাসে ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু – কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যদিও এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পদস্থ কর্তাটি কবুল করেছেন, ‘‘কাশ্মীর যে ভারত ও পাকিস্তানের ঘরোয়া সমস্যা, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।’’তিনি এও বলেন ‘‘প্রেসিডেন্ট চান, ওই সমস্যায় জড়িত সব পক্ষই আলোচনায় বসুক। কাশ্মীরে যোগাযোগব্যবস্থা ও যাতায়াতের উপর থেকে ভারত সব রকমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। আর কাশ্মীরে বিক্ষোভের ক্ষেত্রেও নিজেকে সংযত রাখুক।’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel