এবার টলি পরিচালকরা নামের চমকে চমকে দিতে চাইছেন বোধহয় দর্শকদের।নাহলে এমন নাম তাঁরা দেবেনই বা কেন? কারন বেশিরভাগ দর্শকের কাছে ‘সামসারা’ শব্দটির অর্থ অজানা।পরিচালকেরা এই মুহূর্তে অচেনা পথে হেঁটে চেনা গন্তব্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাঁদের সাহায্য করছেন লেখকরাও।
ভূত মানে শুধু কল্পনাপ্রসূত নয়। ভূতের আর একটি মানে অতীত। রক্তে ভেজা কালিমালিপ্ত অতীত মানুষের পিছু ছাড়ে না। ‘সামসারা’য় ভূত শব্দটির উল্লেখ নেই। বরং ‘পরপার’ শব্দটির মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে জীবন পরবর্তী অধ্যায়ের। এই গূঢ় উপলব্ধিতে পৌঁছনোর জন্য পরিচালক সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ ছবিটিকে রূপ দিয়েছেন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের। গল্প ও চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দাশগুপ্তের। আগের মাসে মুক্তি পাওয়া হরনাথ চক্রবর্তীর হরর কমেডি ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’-এরও গল্প পদ্মনাভর। দু’টি গল্পের প্লট আলাদা। তবে মূল ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু একটিই— অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের টাইম ট্রাভেল, জীবন-মৃত্যুর লুকোচুরি।
‘সামসারা’র কৃতিত্ব তার পরিবেশনে। ছবিতে বিক্রম (ইন্দ্রজিৎ), অতনু (ঋত্বিক) ও চন্দন (রাহুল) তিন বন্ধুর রোজনামচায় হানা দেয় গোপন অতীত। যে অতীত শোনায় ভবিষ্যতের অশনি সঙ্কেত। প্রথমার্ধে তিন বন্ধুর জীবনের একটি আভাস দেওয়া হয়। ছড়িয়ে দেওয়া হয় থ্রিলারের তিনটি সুতো। দ্বিতীয়ার্ধে গল্পের গতি একটু মন্থর। একটি সুতো গোটানোর সঙ্গে সঙ্গেই গল্পের বাকি চলন অনুমান করা যায়। তবে শেষ অবধি সাসপেন্স রয়েছে ছবিতে।
গল্প বলার ধরনে মধ্যযুগীয় মর্যালিটি প্লে ‘এভরিম্যান’-এর আভাস মেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ছবির ল্যান্ডস্কেপও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠে। রানা দাশগুপ্তের ক্যামেরায় জায়গাটি দেখতে ভারী সুন্দর লেগেছে।শেষ পর্যন্ত ছবিটি কতদূর সাফল্য লাভ করে তা দেখার বিষয়।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel