আগামী রবিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় যখন ফ্রান্সের (France) বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে মাঠে পা দেবেন লিয়োনেল মেসি (Lionel Messi), মাথায় থাকবে একটাই লক্ষ্য। চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ব্যক্তিগত কোনও মাইলস্টোন নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাবেন না তিনি। কারণ ৩৫ বছরের মেসির (Messi) কেরিয়ারে এই একটাই শূন্যস্থান পূরণ করা বাকি। বিশ্বকাপ (World Cup) হাতে নেওয়াই তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্য।

তিনি ব্যক্তিগত মাইলস্টোন নিয়ে না ভাবলেও ভাবছে তাঁর ভক্তকুল। কাতারের কাপযুদ্ধে (Qatar World Cup) পাঁচটা গোল এবং পাঁচটা অ্যাসিস্ট (গোলের পাস) আছে মেসির। তাঁর সামনে সুযোগ রয়েছে একই বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল এবং অ্যাসিস্টের। ২০১০ বিশ্বকাপে একই কাজ করেছিলেন জার্মানির থমাস মুলার (Thomas Muller)। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং যুগ্ম সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানকারী। কম ম্যাচ খেলার জন্য সোনার বুট (Golden Boot) পেলেও মুলারের থেকে কম ম্যাচ খেলে তাঁর সমস্যংখ্যক অ্যাসিস্ট করেছিলেন ব্রাজিলের কাকা (Kaka)। বলে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের কৃতিত্ব তাঁর নামেই যায়।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে মারাদোনাও (Diego Maradona) এই রেকর্ডের কাছাকাছি এসে পড়েছিলেন। সর্বোচ্চ পাঁচটা অ্যাসিস্ট এবং গোলও করেছিলেন পাঁচটা। কিন্তু ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকার (Gary Linekar) ৬টা গোল করে সোনার বুট জিতে নেন।

একই সঙ্গে সর্বোচ্চ গোল এবং সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করতে গেলে মেসিকে দুটোই করতে হবে। ৩টে করে গোলে সহায়তায় মেসির সঙ্গে একসঙ্গে রয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, হ্যারি কেন (Harry Kane) এবং অ্যান্তইন গ্রিজম্যান। আর একটা গোলের পাস দিলেও মেসির সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট নিশ্চিত। না দিতে পারলে এই কৃতিত্ব যাবে ফার্নান্ডেজের নামে কারণ তিনি সবথেকে কম মিনিট খেলে তিনটে অ্যাসিস্ট করেছিলেন।

অন্য দিকে মেসি এবং এমবাপে (Kylian Mbappe) দুজনেই সর্বোচ্চ পাঁচটি করে গোল করেছেন। ফাইনালে দুজনের সামনেই সোনার বুটের লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এই পুরস্কারের সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টিনার জুয়ান আলভারেজ এবং ফ্রান্সের অলিভিয়ের জিরুরও। দুজনের ওই ঝুলিতে চারটে করে গোল। সোনার বল অর্থাৎ বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের লড়াইতেও মেসির সঙ্গে লড়ছেন এমবাপে।    

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: