দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি . চিদম্বরম তিহাড় জেলে এখন আছেন । আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশী বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলায় সিবিআই তাঁকে আটক করে । বেশ কয়েক দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর তিহাড় জেলে তাঁকে পাঠানো হয় । আজ আবার তাঁকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিহাড় জেলেই পাঠাল আদালত ।
কিন্তু জেলের ঘরে তাঁর জন্য না আছে চেয়ার, না বালিশ। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিশেষ আদালতে এমনই অভিযোগ করলেন চিদম্বরম।বসতে না পারায় তাঁর কোমরের ব্যথা বেড়েছে বলেও বিচারককে নালিশ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানান চিদম্বরমের আইনজীবীরা। সেই অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি চিদম্বরমকে ফের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আএনএক্স মিডিয়া মামলায় বিদেশি বিনিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত ২১ অগস্ট রাতে হাতে গ্রেফতার হন পি চিদম্বরম। কয়েক দফা সিবিআই হেফাজতে থাকার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। তার মেয়াদ ছিল ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়।
সেই শুনানিতেই জেলের ঘরে চেয়ার না থাকায় তাঁর অসুবিধার কথা বলেন চিদম্বরম নিজে। তিনি বলেন, ‘‘আমার ঘরের বাইরে একটা চেয়ার ছিল। মাঝেমধ্যে সেটাতে গিয়ে বসতাম। কিন্তু এখন সেটাও তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সেটা আমি ব্যবহার করছিলাম। এখন তো ওয়ার্ডেনেরও কোনও চেয়ার নেই।’’ চেয়ার না থাকায় তাঁর কোমরের ব্যথা বেড়েছে বলেও নালিশ জানান চিদম্বরম।
চিদম্বরমের হয়ে এ দিন সওয়াল করেন দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। চিদম্বরমকে আটকে রাখার আর কোনও অর্থ নেই বলে সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন। কিন্তু সিবিআই-এর হয়ে তার বিরোধিতা করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিচারক শেষ পর্যন্ত চিদম্বরমকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পরে কপিল সিব্বল বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা অসুস্থতায় ভুগছেন চিদম্বরম। জেলে থাকায় তাঁর আরও অনেক সমস্যা বেড়েছে। কমেছে ওজন। ফলে তাঁকে এমস বা রাম মনোহর লোহিয়ার মতো হাসপাতালে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আর্জিও জানান সিব্বল।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel