মঙ্গলবার সকালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পয়েন্ট ১৪ ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক ভাবে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল, সোমবার রাতের সংঘর্ষে, ভারতীয় সেনার ১ কর্নেল-সহ তিন জন নিহত হয়েছেন। সেনা এবং সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে, একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, চিনের অন্তত পাঁচ জন সেনা নিহত হয়েছেন সোমবার রাতের সংঘর্ষে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। কিন্তু রাতের মধ্যেই মারাত্মক খবর এল চিন-ভারত সীমান্ত থেকে। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ। চিনের সংবাদমাধ্যমেও অবশ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁদের সৈন্যদেরও অনেকের প্রাণ গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিহত ও আহত হয়েছেন চিনের প্রায় ৪৩ জন সেনা। মঙ্গলবার রাত দশটায় ফোনটা এসেছিল। ফোন ধরেছিলেন তাঁর স্ত্রী রুম্পা রায়ই। তারপর থেকে গোটা আকাশটাই ভেঙে পড়েছে রায় পরিবারের ওপর। বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। ছোট্ট পাঁচ বছরের মেয়েটি সব দেঁখছে, হয়তো বুঝছেও কিছু! শুধু মুখে বলছে, 'বাবা, বাপির কী হয়েছে?' লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর চিনা সৈন্যদের হামলায় শহিদ হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জওয়ান বিপুল রায়ও। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল রেজিমেন্টের জওয়ান ছিলেন। ভাটিবাড়ি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিপুল রায়। দেশসেবা করার ইচ্ছা তাঁর ছিলই, তাই ছোট থেকে সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি। প্রত্যেক বছরই বাড়িতে আসতেন নিয়ম করে। অবসরের আর একটা বছর বাকি ছিল। ভেবেছিলেন এবার ফিরে স্ত্রী, ছোট্ট মেয়ে তমান্না আর বাবা-মাকে নিয়ে সংসারেই মন দেবেন। কিন্তু সেটা আর হল না। তিনি ফিরছেন বটে, কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel