সোমবার দুপুরেই নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন ঘোষণা করে চমক দিয়েছেন মমতা। শুভেন্দুর ডেরা বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে গিয়েই তিনি সেই ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলে তৃণমূলের ‘গড়’ তথা মমতার দীর্ঘ সময়ের লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিছিল করেন শুভেন্দু। সেই মিছিলে খানিক বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূলের লোকেরা মিছিলে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। যার পাল্টা বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা লাঠি-হাতে তাদের তাড়া করেন। রাস্তার পাশে-রাখা মোটরবাইকও ভাঙচুর হয়। ওই মিছিলের পরেই রাসবিহারীতে সমাবেশ ছিল বিজেপি-র।

তৃণমূল নেত্রীকে শুভেন্দুর সরাসরি চ্যালেঞ্জ,'নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।' নন্দীগ্রামকে নিজের 'লাকি জায়গা' বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই 'লাকি জায়গা'তেই প্রার্থী হতে চান তিনি। সে কথা ঘোষণাও করেছেন। মমতা (Mamata Banerjee) বলেছেন, 'আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়! একটু ইচ্ছে হল। একটু গ্রামীণ জায়গা। আমার মনের জায়গা।' মমতার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা বাদেই দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর গড়ে দাঁড়িয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী রোড শোয়ের পর সভায় তিনি বলেন,'নন্দীগ্রামে আপনি দাঁড়াতেই পারেন। এটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। যে কোনও মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করতে পারেন। বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল, কে কোথায় দাঁড়াবেন সভা থেকে বলা যায় না। এটাই তফাৎ। আপনি দাঁড়ান। পদ্মফুলটা আমাকে দিন বা আর যাঁকে দিন হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।'

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: