পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান হলেন মুকুল রায়। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে তাঁর নাম ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুকুলের নাম ঘোষণা করতেই প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, সাধারণত বিরোধী দল থেকেই পিএসি-র চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ক্ষমতার জোরে সেই রীতি ভঙ্গ করেছে তৃণমূল। বিজেপি-র কোনও বিধায়ক মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেননি। যদিও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সদস্য, এক জন নির্দল প্রার্থী মুকুলের নাম সুপারিশ করেন। এগরার তৃণমূল বিধায়ক মুকুলের নাম সমর্থন করেন।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, 'বিধানসভার কোনও কমিটিতেই চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না BJP বিধায়করা। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী PAC চেয়ারম্যান হওয়ার কথা বিরোধী দলের বিধায়কের। সরকারের খরচের হিসেব নেওয়ার অধিকার বিরোধীদের আছে। কিন্তু দেশের সংসদীয় ব্যবস্থার ইতিহাসে প্রথম সেই রীতি ভাঙা হল।’ তবে স্থায়ী কমিটি এবং হাউস কমিটিগুলির চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যান করলেও সদস্য পদে BJP বিধায়করা থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর ঘোষণা, ‘আমরা বৈঠকে হাজির থাকব এবং বিতর্কে অংশ নেব।’ তিনি জানান, রাজ্যের ২ কোটি ২৮ লাখ মানুষ BJP-কে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যই পরিষদীয় দায়িত্ব পালনে পিছপা হবে না BJP।

ভোটপর্ব মিটতেই, গত ১১ জুন বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসেন সপুত্র মুকুল। তখনই তাঁকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল জোড়াফুল শিবিরই। সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইনই জানিয়েছিল, মুকুলের পিএসই-র চেয়ারম্যান হওয়া শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। তার পরই গত ২৩ জুন পিএসি সদস্যপদের জন্য মনোনয়ন জমা দেন মুকুল। তার পরেই শুক্রবার স্পিকার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নিযুক্তির ঘোষণা করেন। স্পিকার জানান, রাজনীতিতে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা মুকুলের। সংসদেও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সব কিছু বিবেচনা করে তাই তাঁকেই পিএসি-র চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: