ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। কোনও কারণ ছাড়াই সকাল থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তান সেনা। সঙ্গে মর্টারও ছোঁড়ে। ঘটনায় এক ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন।

 

শনিবার সকাল ৬ টা নাগাদ গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তান সেনা। সঙ্গে মর্টারও ছোঁড়ে। রাজরৌর নওসের সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় এই কাজ শুরু করে। ঘটনায় এক বারতীয় জওয়ান শহিদ হন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শহিদ জওয়ানের নাম সন্দীপ থাপা। দেরাদুনের বাসিন্দা সন্দীপের বয়স ৩৫ বছর। এই ঘটনার পরই জবাব দিতে শুরু করে ভারতীয় সেনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযয়ী এখন গোলাবর্ষণ চলছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে সেরকমই খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পাক গোলাবর্ষণের জবাবে ভারত পাকিস্তানি চৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।     

 

অন্যদিকে, ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হবে জম্মু-কাশ্মীর। উঠবে নিষেধাজ্ঞাও। আগামী সোমবার থেকেই খুলে যাবে স্কুল। খুলবে সরাকির অফিসও। এমনকী আজ রাত থেকেই ল্যান্ড চালু হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, “রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১২টিতে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। পাঁচটি জেলায় রাত্রিকালীন কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকছে।” সোমবার থেকে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।  

 

প্রসঙ্গত, উপত্যকায় অবিলম্বে যাতে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুণাওয়ালা। সেই মামলারই শুনানি চলছিল। বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতেই বেঞ্চ জানায়, আমরাও চাই উপত্যকা স্বাভাবিক হোক। তবে রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও সময় দিতে হবে। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।    

 


Find out more: