দিল্লির আদালতকক্ষের মধ্যেই চলল গুলি। শুক্রবার দুপুরে গুলির লড়াইয়ে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। দিল্লির কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ে। উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই বিবদমান দুই দলের দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিল। কুখ্যাত দুষ্কৃতী গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। সে রকম এক মামলায় আদালতে আনা হয়েছিল গোগীকে। তখনই বিরোধী গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা আইনজীবীদের পোশাক পরেই আদালত চত্বরে ঢুকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ২০১১-র ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখমের সংখ্যা ছিল ৭৯। ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি আদালতের ৫ নম্বর গেটের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। পরবর্তীতে এনআইএ-ঘটনার তদন্তে নামে। ২০১৭-য় শুনানি শেষে ফেরার সময় দিল্লির রোহিণী আদালত প্রাঙ্গনে এক অভিযুক্তকে গুলি করে খুন করা হয়। আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে বছর ৩১-এর বিনোদ নামে ওই অভিযুক্তের উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতী। পরবর্তীতে ১ জন শ্যুটারকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিস। রোহিণী আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর নরেন্দরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং প্রশান্ত বিহার থানার স্টেশন হাউস অফিসারকে জেলা লাইনে পাঠানো হয়। যার অর্থ তাকে আরও তদন্তের জন্য কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: