ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৩০ সেপ্টেম্বরই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর। ১৬ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শুধু ভবানীপুর নয়, এই দিনই ভোট জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জেও। রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে প্রার্থী মারা গিয়েছিলেন। এই দুই আসনেও একই দিনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণাও হবে একই দিনে। ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের মৃত্যু হলে বা ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তার অন্যথাও হয়েছে অনেক সময়। বাংলার পাঁচটি আসনের ক্ষেত্রে ছয় মাসের ওই সময় সীমা শেষ হচ্ছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ভবানীপুরের ক্ষেত্রে ওই সময়সীমা শেষ হবে ২১ নভেম্বর। আবার বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আর দু’মাসের মধ্যে ওই সব কেন্দ্রে নির্বাচন সেরে ফেলা দরকার। নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অল্পের জন্য হারায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাই মমতাকে জায়গা করে দিতে তাঁর ঘরের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভনদেবের পদত্যাগের কারণে উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা নিশ্চিত করতে চলেছেন মমাতা। ভবানীপুরে জিতেই ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন মমতা। ২০২১ বিধানসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপি-র রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন শোভনদেব। ক মাস আগে ঐতিহাসিক জয়ের পর মমতা এই কেন্দ্রে মার্জিন বাড়িয়েই জিততে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: