কাশ্মীর , দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের মোড়কে মহারাষ্ট্রের আসল সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি । কিন্ত ভোট বড় বালাই এ মাসের ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভোট । এদিকে  পঞ্জাব মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ বা পিএমসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তাদের সঞ্চিত টাকা হারানোর ভয়ে ১৫/২০ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে । আমাদের জাতীয় চ্যানেল গুলি পাকিস্থান , কাশ্মীর ও হিন্দু-মুসলমান নিয়ে মেতে উঠেছে , সাধারন মানুষের কষ্টের টাকা  যে ব্যাঙ্কে অনৈতিকতার দায়ে জলে যেতে বসেছে তা নিয়ে কারও কোনো উচ্চ-বাচ্য নেই । সবাই ভেবেছিল বিষয়টি মিটে যাবে । কিন্ত সঞ্চিত অর্থের প্রতি সাধারন মানুষের মায়া যে বড় তা দেশপ্রেমের নয়া সংঞ্জা দিয়ে আটকানো যাবে না । তাই পিএমসি ব্যাঙ্ক নিয়ে দিন দিন আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে ।
এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁদের সেই ক্ষোভ যেন জ্বলে উঠল। তবে, পিএমসি-র দুরবস্থার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত, পিএমসি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া নিয়ে। ওই কো-অপারেটিভ থেকে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াধওয়ান ব্রাদার্সের সংস্থা এইচডিআইএল। কিন্তু, সেই সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বকেয়া পড়ে রয়েছে ওই বিপুল টাকা ঋণ। ঘটনার জেরে রাকেশ ওয়াধওয়ান ও সারঙ ওয়াধওয়ান নামে অভিযুক্ত সংস্থার দুই কর্তাকে গ্রেফতারও করে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু, ওই বিপুল টাকা উদ্ধার না হওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে পিএমসি। আর তীব্র আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও। শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে আরবিআই। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের আগে, বিজেপি অফিসের বাইরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা বলেন, ‘‘পিএমসি-র দুর্দশাগ্রস্ত গ্রাহকদের কথা আমি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলব। কী ঘটছে তা নিয়ে আমি অর্থমন্ত্রকের সচিবকে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে বলেছি। কী ভুলত্রুটি হয়েছে তা বুঝতে আরবিআইয়ের প্রতিনিধিরাও সেখানে থাকবেন। যদি প্রয়োজন পড়ে তা হলে প্রয়োজনীয় আইনও সংশোধন করা হবে।’’ তবে, পিএমসি নিয়ে সরাসরি দায় নিতে অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তা নির্মলা সীতারামনের মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কিছু করার নেই, কারণ, আরবিআই-ই হচ্ছে নিয়ামক সংস্থা। আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও গ্রামীণ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’’


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: