তিনি ভারতের সফলতম অধিনায়ক। আইসিসি (ICC) আয়োজিত সমস্ত ট্রফি জিতেছেন যে কীর্তি বিশ্বের আর কোনও অধিনায়ক করে দেখাতে পারেননি। সিএসকে-কে (CSK) আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন করেছেন চারবার। এইখানেই সামান্য পিছিয়ে আছেন, কারণ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) পাঁচবার আইপিএল জিতেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) মতো সবকিছু জেতা অধিনায়ক কি সেই হিসেবটাও বরাবর করে দিয়ে যেতে চান? বৃত্তটা সম্পূর্ণ করে খেলা ছাড়তে চান?

গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত ছিল না সিএসকে-র। শেষ পর্যন্ত দুইয়ে শেষ করে কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলার সুযোগ পায়। আর এখন ২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে ধোনির দল। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্সকে (GT) ১৫ রানে হারিয়ে এই নিয়ে ১০ বার এই টুর্নামেন্টের উঠলেন তাঁরা। আর কোনও দল এতবার ফাইনালে উঠতে পারেনি।

ম্যাচের শেষে হেরে যাওয়া দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) মুখে হাসি দেখা গেল। ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ আছে বলেই হয়তো হাসিমুখ। ম্যাচের ময়নাতদন্তে বসলে কিন্তু মুখ গম্ভীর হতে বাধ্য তাঁর।


চেন্নাইয়ের (Chennai) পিচ বরাবরের মতোই স্পিনারদের সাহায্য করল, বল পড়ে একটু থমকে এল। শুভমান গিলের (Shubman Gill) মতো বিধ্বংসী ফর্মে থাকা স্ট্রোক প্লেয়ার আটকে আটকে খেললেন। তাঁর ৩৮ বলে ৪২ রানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। ১৭২ রান তাড়া করা এমন কিছু না, তবে গিল কাউকে পাশে পেলেন না। পান্ডিয়া, শনাকা, ডেভিড মিলাররা সবাই ব্যর্থ। শেষ বেলায় ব্যাট হাতে চেষ্টা করেছিলেন রশিদ খান, কিন্তু ততক্ষণে জল নাকের উপর উঠে গিয়েছিল।

চেন্নাইয়ের হয়ে সেরা বোলিং রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja), চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কান স্পিনার মহিশ থিকসানা, দীপক চাহার, মাথিশা পাথিরানাও প্রত্যেকে দুই উইকেট করে নিলেন। লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং অ্যাকশনের কার্বন কপি পাথিরানা ১৫০ কিমি বেগে বল করলেন। মাত্র পাঁচ বোলারই ব্যবহার করেছেন ধোনি, তাঁর বোলিং চেঞ্জগুলো কাজে দিয়েছে সঠিকভাবে। হাঁটুতে চোট, ভালো দৌড়তে পারছেন না, কিন্তু মগজাস্ত্র এখনও আগের মতোই ধারালো। আর তাতে ভর করেই পঞ্চমবার আইপিএল জয়ের স্বপ্ন দেখছে সিএসকে।    

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: