আগামিকাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের উপর দিকের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে মৌসুমী অক্রেখার কারণে। লাগাতার বৃষ্টিতে সিকিমের সঙ্গে বঙ্গের যোগাযোগ প্রায় ভেঙে পড়েছে। হাওয়া অফিস ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার জেরেই এই ভারী বৃষ্টিপাত। এর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান বদল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা হলে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি কিছুটা কমবে। বরং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে এই সময়।

অন্যদিকে, নির্মাণকারী সংস্থার তরফে রাজ্য সরকারকে টালা সেতু হস্তান্তরের দিন ধার্য হয়েছিল চলতি মাসের ১৬ তারিখ। কিন্তু তার মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এক রকম সম্ভব নয় ধরে নিয়েই আগামী ২৪ তারিখ সেতু হস্তান্তরের পরবর্তী দিন নির্ধারিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে তার পরের দিনই মহালয়া। এতেই ওই এলাকার অনেকে মনে করছেন, মহালয়ার দিনই উদ্বোধন করা হতে পারে নতুন করে তৈরি হওয়া টালা সেতুর। ওই এলাকার বেশ কিছু পুজো কমিটিও আশায় রয়েছে মহালয়ার দিনেই উদ্বোধন হওয়ার ব্যাপারে। প্রশাসন সূত্রের যদিও খবর, ২৪ তারিখ থেকে টালা সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে বলে ধরা হলেও উদ্বোধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হতে চলেছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে টালা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে।

২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে শহরের একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ২০১৯ সালে জমা পড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার সেই রিপোর্টে জানানো হয়, টালা সেতু ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রথমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় টালা সেতু ভেঙে ফেলার কাজ। দু’বছরের বেশি সময় ধরে কাজ চলার পরে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় ঘোষণা করেন, মহালয়ার আগেই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। এর পরেই জোর তৎপরতায় কাজ শুরু হয় টালা সেতুতে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনের চেয়ে সেখানে রাতে বেশি কাজ হয়। বড় বড় লরি রাতে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেতুতে ওঠে। কত দূর কাজ বাকি, খোঁজ করতে গিয়ে শনিবার জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি হয়ে গিয়েছে সেতু।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: