রথযাত্রা৷ রথের দিনে রথে চড়ে সুভদ্রা ও বলরামকে সঙ্গে নিয়ে মাসির বাড়ি রওনা দেবেন জগন্নাথ৷ যদিও এবার করোনা মহামারী সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে৷ তবে জগন্নাথদেবের এই রথযাত্রা ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা দেশে৷ পুরী থেকে কলকাতা, হুগলি থেকে আমেদাবাদ জুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা৷ পূজা শেষ হলে বিশেষ কাঠে তৈরি তিনটি সুসজ্জিত রথে একে একে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে বসিয়ে শুরু হবে পুরীর রথ যাত্রা৷ যদিও কলকাতায় এবার রথে যাবেন না জগন্নাথদেব৷ গাড়িতেই যেতে হবে করোনা কথা মাথায় রেখে৷

তবে এক নজরে কতগুলি তথ্য জেনে রাখুন - ১)  ২০৬ টি কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ তৈরি হয়৷ ঠিক আমাদের দেহেও ২০৬ টি হাড়৷ ২)  পুরীর রথের ৪২ টি চাকা (বলদেবের রথের ১৪টি , জগন্নাথের রথের ১৬টি ,সুভদ্রার ১২ টি)৷ ৩)  জগন্নাথের রথের নাম নন্দী ঘোষ বা কপিধ্বজ৷ এই রথের ১৬ টি চাকা৷ ১৬ চাকা মানে দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপু৷ রথের উচ্চতা ৪৪ ফুট৷ ৪) বলভদ্রের রথের নাম তালধ্বজ বা হলধ্বজ৷ ১৪ টি চাকা আছে৷ ১৪ টি চাকা মানে ১৪ টি ভুবন৷ রথের উচ্চতা ৪৩ ফুট৷ ৫)  সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ৷ ১২ টি চাকা৷ এর অর্থ ভজনের সময় ১২ মাস (সারা বছর)৷ রথের উচ্চতা ৪২ ফুট৷ ৬) সম্পূর্ন রথ শুধুমাত্র কাঠের তৈরি, ফলে রথ চলার সময় কাঠের কড় কড় শব্দ হয়, এটিকে বলা  হয় বেদ৷ ৭) পুরীর রথ চলার সময় রাস্তায় তিনটি দাগ পড়ে — তা হল গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী৷ যারা রথের দড়ি  ধরার সুযোগ পান না, তারা যদি চাকার এই তিনটি  দাগের ধুলি গ্রহণ করেন, তাহলে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীতে অবগহনের ফল লাভ করেন৷ ৮) রথের দড়ি —বাসুকি৷ সেজন্য বলা হয় রথের দড়ি ধরলে পুন্য হয়৷ বাসুকির কৃপা লাভ হয়৷ ৯) এই তিনটি রথের রথীর নাম দারুক৷ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের স্থাপত্যের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই রথগুলি৷ রথের আকৃতি জৈনস্তূপের মতো৷ ১০) দক্ষিণ ভারতীয় দেশর বা নথ, পূর্ব ভারতীয় দেউল ও উত্তর ভারতীয় ধাঁচের নাগরের তৈরি হয়েছে পুরীর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ৷

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: