শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ হল। এটা ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান। সফল উৎক্ষেপণের রুদ্ধশ্বাস কিছু মুহূর্ত কেটে যাওয়ার ঘোর ভাঙতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কেউ হাততালি দিয়ে চিৎকার করে ওঠেন, কারও বা আবেগে চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের বাইরেও হাজার হাজার দর্শক আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন।

ভারতের চন্দ্রাভিযান

ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান শুরু হয় ২০০৮ সালে। চন্দ্রযান ১ সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছিল ওই অভিযানে। চন্দ্রযান ৩ সাফল্যের সঙ্গে উতরে গেলে চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান নামানোর কাজে ভারত চতুর্থ দেশের মর্যাদা পাবে। চাঁদের মাটিতে ধীরে ধীরে নিরাপদে মহাকাশযান অবতরণের কাজটি খুবই দুরূহ। ২০১৯ সালের ব্যর্থতার কারণগুলি খুব খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে এবার সেগুলি নিখুঁত করার কাজ হয়েছে বলে দাবি ইসরোর। চন্দ্রযান ২ অভিযানের ব্যর্থতার কারণই ছিল অবতরণের সময় ঝাঁকুনি লেগে কাত হয়ে যায় বিক্রম। যার ফলে চাঁদের বুকেই ভেঙে পড়ে বিক্রম। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের ১৬ মিনিট পর রকেট থেকে উৎক্ষেপক অংশটি খসে যাবে। এরপর চন্দ্রযান ৩ পৃথিবীর কক্ষপথে ৫-৬ বার উপবৃত্তাকার চক্রে প্রদক্ষিণ করবে। এভাবে নিকটতম ১৭০ কিমি এবং দূরতম ৩৬ হাজার ৫০০ কিমি দূরত্বে পাক দিয়ে চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করবে। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, চন্দ্রযান ৩ যাত্রা শুরু করল। আমরা আশা করি সব কিছু ঠিকঠাকভাবে হবে। এবং এই যান চাঁদে নামবে ২৩ অগাস্ট।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: