ভারতের সাত উইকেটে ১৮৮ রানের জবাবে ১৫.৪ ওভারে ১০০ রানেই গুটিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ঠাসা সূচি। শনিবারই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় রবিবারের ম্যাচে রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, সূর্যকুমার যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারকে সাজঘরে রেখেই মাঠে নেমেছিল ভারত। অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ককে বিশ্রাম দেওয়ায় নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলানো হার্দিক টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।

টসে জিতে হার্দিক প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রোহিতের বদলে ঈশান সুযোগ পেলেও মাত্র ১১ রানে আউট হয়ে যান। ঈশান আউট হলে দীপক হুডা (Deepak Hooda) ও শ্রেয়স আইয়ার ইনিংস সামলান। বেশ কয়েকদিন ধরে খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাওয়া শ্রেয়সকে দুরন্ত ছন্দে দেখায়। তিনি ৪০ বলে ৬৪ রান করেন। শ্রেয়সই এই ইনিংসে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এছাড়া দীপক হুডা ৩৮ রান করেছেন। শ্রেয়সের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রান যোগ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে এ দিন ভাল বোলিং করলেন ওডিন স্মিথ। ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর শিকার তালিকায় রয়েছেন সঞ্জু, কার্তিক এবং অক্ষর। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেসন হোল্ডার, ডোমিনিক ড্রেকস এবং হেডেন ওয়ালশ।

জয়ের জন্য ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচে বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩৩ রানেই ৩ উইকেট হারান পুরানরা। ওপেন করতে নেমে রান পেলেন না হোল্ডার (০)। অন্য ওপেনার শামার ব্রুকস করলেন ১৩ বলে ১৩ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভন টমাসের অবদান ১১ বলে ১০ রান। ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে কিছুটা টানলেন চার নম্বরে নামা শিমরন হেটমেয়ার। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়। তাঁর আগ্রাসী ইনিংসই কিছুটা মুখ রক্ষা করল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ২২ গজে তাঁকে আর কেউই সাহায্য করতে পারলেন না। ব্যর্থ হলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়কও।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: