রবিবার থেকে কার্ফু জারি ছিল,আজ তা উঠে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর রাস্তায় কিছু মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছিল।কিছু মানুষ মসজিদে গিয়ে নামাজও পড়ে। বিক্ষোভ দেখনো বা পাথর ছোড়া হলেও তা কন্ট্রোলের মধ্যেই ছিল।দোকান বাজার আজও খোলেনি।সেনা ছিল সদাতৎপর।  জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘মানুষ স্থানীয় মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়েছেন। সুযোগসন্ধানীরা যাতে গোলমাল করতে না-পারে, সেই জন্য কড়া পাহারা থাকলেও নমাজিদের আটকানো হয়নি।’’

কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিসেবা আংশিকভাবে ফিরলেও দুপুরের পর আবার বিচ্ছিন্ন করা হয়।

 

 চার দিন পরে স্কুল খুলেছে সাম্বা ও কাঠুয়ায়। গত কালই প্রবাসী কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার দফতরে দু’টি হেল্পলাইন খোলা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে আজ কয়েকশো লোকের লাইন পড়ে। সেনাদেরকেও ৩০০ ফোন দেওয়া হয়।

 

আজ কার্ফুতে ঢিলে দিলেও শ্রীনগরের জামা মসজিদে নমাজ পড়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তবে স্থানীয় মসজিদগুলিতে জমায়েতে ছাড় দেওয়া হয়। আজ শ্রীনগরের ইদগা এলাকা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর মধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের আগে-পরে জলপথে জঙ্গি হানার আশঙ্কায় আজ সর্তক করা হয়েছে নৌবাহিনীকে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিল্লি, মুম্বই ও গুজরাতে। কাশ্মীরের জেল থেকে আরও ২০ জনকে আজ আগরায় সরানো হয়েছে।

 

কিছু উপত্যকাবাসিদের দাবী কাশ্মীরিদের জমি লুঠের জন্য ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। শ্রীনগরের একটি মসজিদের সামনে ঝুলছে হাতে লেখা পোস্টার— ‘ভারতীয়দের জমি বেচবেন না, সোমবার ইদের নমাজের পরে মিছিলে যোগ দিন!’ পুলিশের এক কর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন , ‘‘আজ কিছু হয়নি, কিন্তু ইদের দিন যে কী হবে!’’

 

তারিক আহমেদের কথায়, ‘‘মানুষ নজর রাখছেন। কত দিন কার্ফু চাপিয়ে রাখবে? বিক্ষোভ হবেই। আর লাঠি-গুলি চললে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কেউ বলতে পারে না!’’ সরকারি কর্মী ওয়েসিস বলেন, ‘‘এ ভাবে কাশ্মীরবাসীকে দাবিয়ে রাখবে ভেবেছে ওরা? উল্টো ফল হবে এই কৌশলের।’’

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: