কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে কোণঠাসা করার জন্য মরিয়া পাকিস্তান। এরই মধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর পৌঁছেছে, বালাকোট অভিযানের সাত মাস পরে সেই জঙ্গি ঘাঁটিকে ফের গড়ে তুলতে নেমেছে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। এবং এ সবের পুরোটাই চলছে পাক মদতে।

এমতাবস্থায় পটনায় আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান যেন ১৯৬৫ কিংবা ১৯৭১ সালের মতো যুদ্ধ করার ভুল আর না করে। কারণ, যত বারই যুদ্ধ হয়েছে, ভারতই জিতেছে। তবে রাজনাথের মতে, পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চেয়ে ভারতকে কিছুই করতে হবে না। যে ভাবে নিজেদের মাটিতে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে তারা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, সে সবই পাকিস্তানকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন ‘‘দেখি কত জন জঙ্গিকে ওরা ভারতে পাঠাতে পারে! এক জনও ফিরে যাবে না।’’

২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা জইশের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। সাত মাস কেটে গিয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের বিষয় নিয়ে এখন ভারত-পাকিস্তান মধ্যে টানাপড়েনের বেড়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, পাক সরকারের মদতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের তৎপর হয়েছে। জইশের কমান্ডার আব্দুল রউফ আসগরের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শুধু কাশ্মীরই নয়, জঙ্গিরা গুজরাত, মহারাষ্ট্রেও হামলা করার ছক কষছে।

ভারতীয় গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে এখন আবার নতুন করে মানসেরা, গুলপুর, কোটলির জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার  বিভিন্ন এলাকা থেকে জইশ নতুন করে জঙ্গি নিয়োগ করছে, তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরের কাছে নীলুম, লিপা উপত্যকায় জইশের অন্তত ১০০ জন জঙ্গি এ-পারে আসার অপেক্ষায়। আবার আফগানিস্তান থেকেও জঙ্গিদের ধাপে ধাপে কাশ্মীরে পাঠাতে চাইছে মাসুদ আজহার।

 

 

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: