গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে বার বার হাজিরা এড়িয়ে গেলেও, শেষমেশ বৃহস্পতিবার ১৯ মে সকাল ৯টা বেজে ৫০মিনিটে নিজাম প্যালেসে CBI দফতরে পৌঁছলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সময়ের আগেই CBI দফতরে পৌঁছে যান তিনি। তবে দেখা যায়, বাঁ হাত দিয়ে চেপে আছেন বুক। বুকে হাত দিয়েই নিজাম প্যালেসে ঢোকেন অনুব্রত মন্ডল। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছলেন বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সাড়ে দশটার মধ্যে আসার কথা ছিল তাঁর। সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান। সহায়কদের হাত ধরে নিজাম প্যালেসের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেও দেখা যায়।

চার ঘণ্টার জেরা সামলে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন অনুব্রত। তাঁকে তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। তবে বেরিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত। গত ৬ এপ্রিল গরুপাচার-কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য ভাবে ওই দিনই শারীরিক অসুস্থতার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। তবে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, এই মর্মে তিনি চিঠিও দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরে হাসপাতাল থেকে ছুটির পরও সিবিআইকে তিনি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন।

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই অনুব্রত মন্ডলকে CBI-এর নোটিস ও তাঁর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হওয়াকে কটাক্ষ করেছিলেন মদন মিত্র। মদন মিত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "CBI এলেই অসুস্থ অনুব্রত মন্ডল। CBI যখন আসে, তখনই অনুব্রত মন্ডল অসুস্থ হয়ে যায়। আবার অনুব্রত মন্ডল অসুস্থ হলেই CBI আসে।" অভিষেক-রুজিরার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছিলেন, "অনুব্রত মন্ডলেরও উচিত CBI-কে ফেস করা।"

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: