পাকিস্তান প্রীতি দেখাতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে বেজিং। এমনকি সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল তা কার্যত ভেস্তে যাওয়ার পর কূটনৈতিক মহলের মতামত অন্তত তেমনই।
শুধু কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-বিরোধী প্রস্তাব আনার চেষ্টাই নয়। গত এক বছরে বারবার পাকিস্তানের হয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে গিয়েছে চিন। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে চটজলদি নিন্দা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাতে প্রবল ভাবে বিরোধিতা করে বেজিং। কিন্তু আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশের সম্মিলিত চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হয় তাদের। জইশ ই মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা লাগানোর ক্ষেত্রেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে। পরপর তিনবার আটকানোর পর শেষ পর্যন্ত মাসুদ আজহারকে বাঁচাতে পারেনি চিন। গত সেপ্টেম্বরে চিনের জিয়াংজং-এ উইঘুর মুসলমানদের উপর ‘রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের’ অভিযোগে তিরিশটা দেশ একজোট হয়ে নিন্দা করেছিল শি চিনফিং সরকারের। ঘটনাটি ঘটে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন একটি পার্শ্ববৈঠকের মাধ্যমে। ভারত সেই বৈঠকে যোগ না দিলেও, পরোক্ষে অংশ নিয়েছিল দেশগুলির সঙ্গে দৌত্য করার ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চিন তথা পাকিস্তানের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক। অন্য কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। এর পরে সরাসরি বেজিংয়ের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ঐকমত্য চিনের আচরণেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত। তা থেকে পাঠ নিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত।’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel