পাকিস্তান থেকে ফেরার পর এবার নিজের আকাশে ফিরলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়। আকাশে প্রায় ৩০ মিনিট ছিলেন তাঁরা।

পুলওয়ামা হামলার পর ভারত বালকোটে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে অভিযান চালায়। পরের দিনই জবাব দিতে আসে পাকিস্তান। তৈরি ছিল ভারতও। ভারতে আসা পাক এফ ১৬ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করতে করতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানে মিগ ২১ বাইসন বিমান। তারপর পাক বিমানের গুলিতে অভিনন্দনের বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেখানেই বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বুঝতে পারেননি তিনি পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছেন। বন্দি হতে হয় পাকিস্তানি সেনার হাতে। রক্তাক্ত অবস্থায় অবিনন্দনের বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে সেনা। পরে চায়ের কাপ হাতে পাকিস্তান সেনা অফিসারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। সেখানে ‘আই এম নট সাপোজ টু টেল ইউ’ সেন্টেন্স আর তাঁর কথা বলা যেন বীরত্বরে ছাপ স্পষ্ট দেখা যায়। পাকিস্তানের ডেরাতেও চাপের মুখে কোনও তথ্য দেননি। অবশেষে বিশ্বের কাছে চাপে পড়ে অভিনন্দনকে দেশে ফেরায় পাকিস্তান। বীর চক্র সম্মান দেওয়া হয় অভিনন্দন বর্তমানকে।

দেশে ফেরার প্রায় ৬ মাসের মধ্যেই আবার মিগ ২১ বিমানে উঠলেন অভিনন্দন। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়। এয়ার চিফ মার্শাল সামনের আসনে বসেন। পিছনের আসনে বসেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ধানোয়া ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেন।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ধানোয়া জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সালে তাঁকেও একবার বিমান থেকে ইজেক্ট করতে হয়। কিন্তু সেবার কাজে ফিরতে তাঁর প্রায় ৯ মাস লেগিল গিয়েছিল। সেখানে অভিনন্দন মাত্র ৬ মাসেই নিজেকে উড়ানের জন্য ফিট করে ফেললেন। অবসরের আগে সম্ভবত এটাই ছিল বায়ুসেনা প্রধানের শেষ ককপিট। অভিনন্দনের বাবার সঙ্গেও বিমান উড়িয়েছিলেন বিএস ধানোয়া।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: