তাঁর
তৈরি অ্যান্টেনাই এখন চাঁদ ও মঙ্গলের বুকে ইসরোর
প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই অ্যান্টেনার মাধ্যমেই পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে
সৌরমণ্ডল থেকে বার্তা পাঠাবে ভারতের
চন্দ্রযান-২। তাঁর নাম চন্দ্রকান্ত কুমার। হুগলির গুড়াপের
খাজুরদহ-মিল্কি পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে বাড়ি তাঁর। কোনও কিছু না ভেবেই ছেলের নাম
রেখেছিলেন চন্দ্রকান্ত। তবে নাম যে এভাবে সার্থক হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। সংসারে
অভাব অনটন থাকেই। তা সামলেও দুই ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন মধুসূদনবাবু ও অসীমাদেবী। ছেলের
এই সাফল্যে যারপরনাই খুশি তাঁরা। তবে গোটা দেশ যখন আনন্দে আত্মহারা, তখন অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি এই পরিবার। আজও শিবপুরের ওই বাড়িতেই থাকেন
মধুসূদন বাবু ও অসীমাদেবী। পাল্টায়নি রোজনামচাও।
ছেলেরা সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও, চাষবাস এবং
হোমিওপ্যাথি নিয়ে পড়াশোনায়
ব্যস্ত মধুসূদনবাবু। ঘর-গোয়াল সামলান অসীমাদেবী।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রকান্তর প্রথম স্কুল মাজিনান প্রাথমিক বিদ্যালয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন মাজিনান নব বিদ্যালয়ে। ১৯৯২ সালে খাজুরদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ধনিয়াখালি মহামায়া বিদ্যামন্দির থেকে। এর পর বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি অনার্স। রেডিয়ো ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স নিয়ে এমএসসি এবং এমটেক পাশ করেন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি-ও করেন। তার পর ২০০১ সালে ইসরোর চাকরিতে ঢোকেন। ভারতের ‘চন্দ্রযান-২’ মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর(টেকনিক্যাল)চন্দ্রকান্ত।তাঁর ভাই শশীকান্ত কুমারও বেঙ্গালুরুতে ইসরোয় কর্মরত। তাঁর বিষয় ‘মাইক্রোওয়েভ’।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel