ভারতের ত্রিফলা স্পিনিং আক্রমণের সামনে শেষ অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সদের(Pat Cummins) বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ৩২ রানে জিতল ভারত। ভারতের প্রথম ইনিংস ৪০০ রানে শেষ হওয়ার ২২৩ রানের লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। এরপর পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে কোনও অস্ট্রেলীয় ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। তৃতীয় দিনে নাগপুরে ম্যাজিক দেখান রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। তুলে নেন ৫ উইকেট। প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান উসমান খোয়াজা (৫), ডেভিড ওয়ার্নার (১০), রেনশা (২), পিটার হ্যান্ডস্কম্ব (৬) এবং অ্যালেক্স ক্যারেকে (১০)। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া মারনাস লাবুশানেকে ব্যাক্তিগত ১৭ রানের স্কোরে তুলে নেন রবীন্দ্র জাডেজা।  একা কুম্ভ হয়ে লড়ার চেষ্টা করেন স্টিভ স্মিথ (২৫ অপরাজিত)। কিন্তু সেটা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। রবীন্দ্র জাডেজা এবং মহম্মদ শামি নেন ২টি করে উইকেট।

উল্লেখ্য, নয়া মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাডেজা। নাগপুর টেস্টে অর্ধশতরানের সঙ্গে ৫ উইকেট নেন। এরইসঙ্গে ভারতের হয়ে পাঁচবার এই ধরনের কীর্তির অধিকারী হলেন স্যর জাডেজা। শুধু এখানেই শেষ নয়। কপিল দেবের রেকর্ডও  ভেঙে ফেলেন তিনি। একটি টেস্টে ৫ উইকেট এবং অর্ধশতরান করার কীর্তি চারবার রয়েছে কপিল দেবের। নাগপুরে আরও একবার এই কীর্তির অধিকারী হয়ে কপিলকে ছাপিয়ে গেলেন রবীন্দ্র জাডেজা।

আরও পড়ুন: India vs Australia Nagpur Test: 'সুলতান' শামি আর 'চাক দে' অক্ষরের ব্যাটে ২২৩ রানের লিড নিল ভারত

প্রথম ইনিংসে মার্ফির বলে ৭০ রানে আউট হয়ে যান  রবীন্দ্র জাডেজা। মারেন ৯টি চার। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৪০০ রানে। ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন  অক্ষর  প্যাটেল। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মহম্মদ শামি। ৪৭ বলে করেন ৩৭ রান। মারেন ২টি চার এবং ৩টি ছয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টড মার্ফি যথেষ্ট প্রভাবিত করেন। ১২৪ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৭ উইকেট। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নেন ২ উইকেট।

২০২২ সালের জুলাই মাসের পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেই রবীন্দ্র জাডেজার এ রকম পারফরম্যান্স  সত্যিই চমকপ্রদ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: