পর্যাপ্ত কর্মী না থাকার কারনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবসর প্রাপ্তদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে রেল। কিন্তু আর্থিক দায় কমাতে এ বার সারা দেশে অবসরের পরে পুনর্নিযুক্ত সেই সব কর্মীকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

২১ অক্টোবর রেলের সব জ়োনের জেনারেল ম্যানেজারদের সঙ্গে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের ভিডিয়ো-সম্মেলনে পুনর্নিযুক্ত কর্মীদের বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েক দিন আগে রেল বোর্ডের তরফে চিঠি পাঠিয়ে সব জ়োনের বিভাগীয় প্রধানদের অবিলম্বে ওই নির্দেশ রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই প্রায় ৩২ হাজার কর্মীকে অপসারণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে রেল সূত্রের খবর।

রেল সূত্রের খবর, অবসর নেওয়ার পরে পুনর্নিযুক্ত কর্মীদের মূল বেতনের (অবসরকালীন) অর্ধেক ছাড়াও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। অবসরকালীন সুবিধে হিসেবে পেনশন পান তাঁরা। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে পেনশনে আর মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হয় না।

পুনর্নিযুক্ত আধিকারিকদের মূলত বিভিন্ন পদে সহায়ক হিসেবে কাজ করানোর কথা। যেমন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেনচালকদের দিয়ে ইয়ার্ডে ইঞ্জিন শান্টিংয়ের কাজ করানো হয়। অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকতে পারেন না ঠিকই। তবে ওই সব ক্ষেত্রে পরামর্শদাতার ভূমিকা নেন তাঁরা। তবে বহু ক্ষেত্রেই রেলের ‘সেফটি ক্যাটেগরিতে’ (ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত কাজ) তাঁদের দিয়ে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই অবসরপ্রাপ্তদের একাংশকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। অবসর নেওয়ার পরে সুস্থ থাকলে আধিকারিকেরা এখন ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পান। কিন্তু নতুন নির্দেশের ফলে তাঁদের সকলকেই কাজ ছাড়তে হবে।

রেলকর্তাদের একাংশের মতে, বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছেঁটে ফেলার ফলে রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ ব্যাহত হতে পারে। যদিও কর্তাদের একাংশের মতে, অনেক বিভাগেই কর্মী উদ্বৃত্ত। তাই খরচের বোঝা কমাতে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কাজের সঙ্গে কর্মী-সংখ্যাকে উপযুক্ত অনুপাতে আনার জন্য এটাকে তাঁরা বলছেন ‘রাইট সাইজ়িং’ প্রক্রিয়া।

ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নীতিগত ভাবে আমরা পুনর্নিয়োগের বিরুদ্ধে। তাই সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে বিভিন্ন বিভাগের শূন্য পদে অবিলম্বে কর্মী নিয়োগটাও জরুরি।’’

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: