যদিও ভারতে করোনা মৃত্যুর সংখ্যা আর বাড়েনি, তবুও সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে, দেশে সংখ্যাটা আপাতত ১০৭। উত্তরাখণ্ড, কেরল ও মহারাষ্ট্রে আরও তিন জনের সংক্রমণের খবর এলেও তা এখনও কেন্দ্রের খাতায় ওঠেনি।
রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। কেন্দ্রের হিসেবে, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। যাঁদের মধ্যে ১২ জনের সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছে আজই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেন। বলিউডে সমস্ত শুটিং বন্ধ। পর্যটকের ভিড়ে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রুখতে ১৪৪ ধারা বলবৎ করেছে মুম্বই পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের সাতারায় একটি ধর্মীয় জমায়েত করার জন্য ৫ উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর করোনা-আক্রান্ত গুগল কর্মীর শ্বশুরের নামে এফআইআর করেছে আগরা পুলিশ। ইটালি ও গ্রিসে মধুচন্দ্রিমা শেষে ফেরার পরে গুগলের ওই কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর স্ত্রীর শরীরে এখনও ওই ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। কিন্তু কাউকে না-জানিয়েই সেই তরুণী আগরায় বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকর্তারা খুঁজতে এলে তরুণীর বাবা-মা তাঁদের বিভ্রান্ত করেন বলে অভিযোগ। আগরার জেলাশাসক প্রভু সিংহ বলেছেন, সকলের বিরুদ্ধেই এফআইআর হবে। ওই তরুণীর বাবা রেলের অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একটি সূত্রের দাবি, ওই গুগল কর্মী সস্ত্রীক মিউনিখ থেকে লুফৎহানসার বিমানে মুম্বই পৌঁছন ৬ মার্চ। ৮ মার্চ রাত পৌনে ১০টায় ইন্ডিগোর বিমানে তাঁরা বেঙ্গালুরু পৌঁছন। বিমানবন্দর থেকে স্ত্রী আর বেরোননি। তিনি রাতের বিমান ধরে দিল্লি পৌঁছন ভোর ৪টে ২০ মিনিটে। তার পরে গতিমান এক্সপ্রেসে আগরা যান। কিন্তু অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্তাদের ওই গুগল-কর্মী বলেন, তাঁর স্ত্রী মুম্বই হয়ে দিল্লি গিয়েছেন। এর পরেও তাঁর আগরা যাওয়ার খবর পেয়ে যায় প্রশাসন। সরকারি কর্তারা বাড়িতে এলে ওই তরুণীর বাবা-মা বলেন, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত রেল ও গোয়েন্দাদের সাহায্যে আগরা থেকেই খোঁজ মেলে তাঁর। আপাতত সবাই আইসোলেশনে। কর্নাটকের স্বাস্থ্য-শিক্ষা মন্ত্রী কে সুধাকরের অবশ্য বক্তব্য, ওই তরুণী আগরায় আসার কয়েক দিন পরে তাঁর স্বামীর করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ে। কাজেই ‘পালানোর’ তত্ত্ব ঠিক নয়।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel