স্রেফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, এখন থেকে সমাবেশ-মিছিলের মতো রাজনৈতি কর্মসূচি, সেন্ট্রি, টহলদারি ভ্যানে যেসব পুলিসকর্মী ডিউটিতে থাকবেন, তাঁরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। ২১ জুলাইয়ের আগে  নয়া নির্দেশিকা জারি করলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।

পুলিশ সূত্রের খবর, কাজের সময়ে, বিশেষত যে সব পুলিশকর্মী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, পিকেট বা সেন্ট্রির কাজে রয়েছেন, তাঁরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে নির্দেশে। টহলদারি এবং নজরদারিতে যুক্ত যে পুলিশকর্মীরা এইচআরএফএস বা কুইক রেসপন্স টিমের কাজ করছেন, তাঁরাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও অতি প্রয়োজনীয় বা অফিস সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে সরকারি কাজে ছাড় থাকায় ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন কেস করতে বাধা নেই বলেই মনে করছেন ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিকেরা। লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, সম্প্রতি টহলদারি পুলিশকর্মীদের এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ভিভিআইপি নিরাপত্তার গাফিলতি প্রকাশ্যে আসার পরে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। তার সঙ্গে মোবাইল-নিষেধাজ্ঞার সম্পর্ক আছে কি না, পুলিশকর্তারা কিছু বলতে চাননি।

দক্ষিণ কলকাতার একটি থানার আধিকারিকের কথায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাজের সময়ে বাহিনীর অনেকে মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন। এতে সমস্যা তৈরি হয়। আর এক পুলিশকর্তা জানান, রাতে আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে, কর্তব্যরত বহু পুলিশকর্মীর নজর রাস্তায় নয়, মোবাইলে থাকে। Ads by পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে থাকবেন রাজ্যের দুই প্রধান ভিভিআইপি নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তি। তাই নিরাপত্তায় যাতে কোনও রকম ফাঁক না থাকে, এ জন্যেই মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানছে লালবাজার। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মোবাইলে কর্মীরা মগ্ন হয়ে থাকলে নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই লালবাজারের এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং তাতে সাফল্য এসেছিল বলে সূত্রের দাবি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: