পুজো কোলকাতাতে কাটানোর মজাই আলাদা। সেই প্রসঙ্গে ঋত্বিক রোশনের বক্তব্য “এখনও অবধি সুযোগ হয়নি। আমি কিন্তু ২৫ শতাংশ বাঙালি। আমার দিদা বাঙালি ছিলেন। তাই শহরটার প্রতি আলাদা ভালবাসা রয়েছে। প্রথম ছবি রিলিজ়ের পরে জীবনের প্রথম কনসার্ট এই শহরেই হয়েছিল। সেটা আমার দিদার ইচ্ছে ছিল। অনেক বছর হয়ে গিয়েছে, কলকাতায় যাওয়া হয়নি। ‘ওয়র’-এর জন্য যেতে পারি”।

সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বললেন “এই ছবিতে সিদ্ধার্থ ওর প্রতিভাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এত বড় স্কেলে একটা ছবিকে ভিস্যুয়ালাইজ় করতে সব পরিচালক পারেন না। আমি ওর কাজের স্টাইল পছন্দ করি। ও আমার কাজের ধারাকে সম্মান করে। পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে আমরা খুব সন্তুষ্ট। এত বড় স্কেলে কাজ করেও ছবির সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে পারে সিদ্ধার্থ”।

ছেলেদের ব্যাপারে জানালেন “ছেলেরা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান কি না, জানি না। তবে ওরা টাইগারের খুব বড় অনুরাগী। আমার দুই ছেলেই খুব কড়া সমালোচক। সারা দুনিয়ার বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখে ওরা। এই ট্রেলারকে ওরা দশে দিয়েছে সাড়ে নয়। এখনও অবধি আমার ছবির ক্ষেত্রে সেটা সবচেয়ে বেশি”।

ভরসা রাখেন নিজের কাজে। তাঁর কথায় “আমার প্রথম ছবি (কহো না পেয়ার হ্যায়) খুব বড় হিট হয়েছিল। তখন কিন্তু আমি কোনও স্টার ছিলাম না। তাই প্রথম ছবি করা থেকেই আমি বুঝেছি, স্টার পাওয়ার বলে কিছু হয় না। কিছু ছবি দর্শক পছন্দ করেন, কিছু ছবি করেন না। আমাকে ভাল ছবি করতে হবে, সেটাই শেষ কথা। কনটেন্টভিত্তিক ছবি চলুক, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পরিধি আরও বাড়ুক, যাতে অভিনেতা-তারকা সকলেই বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করার সুযোগ পান। আর আমার মতে মূলধারার হিন্দি বাণিজ্যিক ছবির আয়ু ফুরিয়েছে। ওই ঘরানা মৃতপ্রায়। ওখানে নতুন কিছু করার নেই”।

লুক নিয়ে অবসেসন নেই কোন। বললেন চরিত্র কোন লুক ডিমান্ড করছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ধরনের লুক সারা বিশ্বে প্রশংসিত—ওয়েস্টার্ন, কুল, কেতাদুরস্ত, স্মার্ট, সেটা তৈরি করতে অনেক খাটতে হয়। ‘ওয়র’-এর জন্য আমাকে সেই লুক আনতেই হত, কারণ এটা একটা এজেন্টের চরিত্র। তবে লুক নিয়ে আমি অবসেসড নই। তার জন্যই ‘কাবিল’ আর ‘সুপার থার্টি’র মতো ছবিতে কাজ করেছি। তবে ব্যক্তিগত স্তরে সিক্স প্যাকস বানাতেও আগ্রহী নই”। 

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: