কাউন্সিলর অনুপম দত্তর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত আরও এগোল ব্যারাকপুর কমিশনারেট। ধৃত অমিত পণ্ডিতকে জেরা করে জানা গেছে যে অস্ত্রটি সে বারুইপুর পুলিস জেলার তিনজন দুষ্কৃতির কাছ থেকে কিনেছিল। এই তিন দুষ্কৃতির বিষয়ে অমিতের কাছ থেকে বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে রাতেই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের একটি দল বারুইপুর পুলিস জেলায় অভিযান চালায়। এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তিনজনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গেছে পুলিস সূত্রে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে পুলিসের তরফে।

অন্যদিকে, রাজ্যের দুই জেলায় একই দিনে দুই পুরপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় ‘বড় অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত’ দেখছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। সরাসরি না বললেও তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের ইঙ্গিত উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দিকে। সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, পানিহাটির তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি খুনের পিছনে রয়েছে শাসক শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর ঝালদায় কংগ্রেস সদস্য খুনের পিছনে তৃণমূলের ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ড দখলের চেষ্টা। সোমবার বিধানসভায় ওই দুই খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য ওয়াকআউটও করে বিজেপি। পানিহাটির ঘটনার নেপথ্যে এলাকার জমি- ব্যবসা থেকে শুরু করে পুরবোর্ডে ক্ষমতার ভারসাম্যের অঙ্ক পর্যন্ত বিবিধ অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত মনে করছেন, পুরপ্রতিনিধি অনুপম দত্তের খুনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে এই খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তে সবই প্রকাশ পাবে। এবং প্রকৃত দোষী যেই হোক তার উপযুক্ত সাজা দিতে প্রশাসন পিছপা হবে না।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: